সাম্বার তালে মাতলো 'স্টেডিয়াম ৯৭৪'। মাতলো বিশ্বের প্রতিটি ব্রাজিল ভক্ত। দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে নাস্তানাবুদ করে জয় তুলে নিয়েছে সেলেসাওরা। যে ব্রাজিল গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে করেছে মাত্র তিন গোল, সেই ব্রাজিল নক আউটের প্রথম ম্যাচে প্রথমার্ধেই প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়েছে ৪ গোল। পেলের বার্তা পেয়ে এবং নেইমার ফিরে আসায় যেনো নতুন করে অক্সিজেন পেয়েছে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। চোট কাটিয়ে ফিরে এসে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিলেন ব্রাজিলিয়ান পোস্টার বয় নেইমার। এদিন গোল করে নেইমার ছুঁয়ে ফেললেন পেলেকে। স্পর্শ করলেন আর এক কিংবদন্তী 'ফেনোমেনন' রোনাল্ডোকে।
'দিস ইজ ব্রাজিল, দিস ইজ বিউটিফুল গেম' - ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষ্যকারের মুখে এমন শব্দবন্ধ বেশ কয়েকবার শোনা গিয়েছে। আর শোনা যাবেই না বা কেনো। ফুটবল যে এক অনিন্দ্য সুন্দর শিল্প, তা তো বোঝাই গেলো ব্রাজিলের খেলায়। এককথায় 'টোটাল' ফুটবল উপহার দিলো সেলেসাওরা। যা দেখে মুগ্ধ না হয়ে থাকা যায়!
ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজতেই ভিনিসিয়াস-রাফিনহা-রিচার্লিসন জাদুতে বুঁদ হয় ফুটবলভক্তরা। নেইমার আক্রমণভাগের লীডার। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে রাফিনিয়ার দুর্দান্ত পাস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে সহজেই দক্ষিণ কোরিয়ার জালে জড়ান রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ভিনিসিয়াস। ভিনি জুনিয়র যে সুর বেঁধে দিয়েছিলেন তাতেই ঝঙ্কার তোলেন রিচার্লিসন-নেইমার-পাকুয়েতারা।
১৩ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান নেইমার। এই গোলের সাথে সাথেই ব্রাজিলের হয়ে তিনটি পৃথক বিশ্বকাপের আসরে গোল করলেন নেইমার। সেলেসাওদের ঐতিহ্যময় ইতিহাসে তিনটি পৃথক আসরে গোল করা ফুটবলারদের তালিকায় পেলে (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৭০) এবং রোনাল্ডোর (১৯৯৮, ২০০২, ২০০৬) পাশে বসলেন তিনি। পুরস্কার পেলেন ম্যান অফ দ্য ম্যাচেরও।
নেইমার ২-০ গোলে এগিয়ে দেওয়ার পর ২৯ মিনিটে ব্রাজিল পায় তৃতীয় গোল। থিয়াগো সিলভার পাস থেকে গোল করেন রিচার্লিসন। ৩৬ মিনিটে ভিনিসিয়াসের পাস থেকে চতুর্থ গোলটি করেন পাকুয়েতা। রেকর্ড গড়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে মোট ১৭ বার কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখলো ব্রাজিল! পাশাপাশি, ধারাবাহিকতা বজায় রেখে টানা অষ্টমবার শেষ আটে সেলেসাওরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন