বাড়ি পাঠানো হল আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের ‘বিতর্কিত’ রেফারি অ্যান্তোনিয়ো মাতেও লাহোজ। তাহলে কি মেসির মন্তব্যের পরেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা? জোর জল্পনা শুরু হয়েছে ফুটবল মহলে।
কোয়ার্টার ফাইনাল শেষেই রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন আর্জেন্টাইন তারকা লিও মেসি। শুধু মেসিই নন দুই দলের একাধিক ফুটবলারও রেফারির সমালোচনা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রোল হতে থাকেন এক ম্যাচে ১৮টি হলুদ কার্ড দেখানো রেফারি। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ফিফার তরফ থেকে স্প্যানিশ রেফারিকে দেশে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। ফলে সেমিফাইনাল, তৃতীয় স্থান এবং ফাইনাল ম্যাচের কোনোটিতেই তাঁকে দেখা যাবে না।
মেসি বলেছিলেন, রেফারি সম্পর্কে আমি বিশেষ কিছু বলতে চাইনা। মাঠে যা হয়েছে তা সকলেই দেখেছেন। তবে আমার মনে হয় ফিফার একটু ভেবে দেখা প্রয়োজন। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট। তাও আবার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। যথেষ্ট দক্ষ ও অভিজ্ঞ রেফারি নিয়োগ করা উচিত ছিল’।
অ্যান্তোনিয়ো লাহোজের বিরুদ্ধে মেসির ক্ষোভ নতুন নয়। ২০১৩-১৪ মরশুমে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সাথে বার্সেলোনার ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচে মেসির গোল বাতিল করে দিয়েছিলেন লাহোজ।
অ্যান্তোনিয়ো মাতেও লাহোজ ওই ম্যাচে প্রথম হলুদ কার্ডটি দেখান আর্জেন্টিনার সহকারী কোচ ওয়াল্টার স্যামুয়েলকে (৩১ মিনিট)। শেষ হলুদ কার্ডটি দেখান নেদারল্যান্ডসের নাও লাং-কে (১২৯ মিনিট)। যা ২০০৬ বিশ্বকাপের পর্তুগাল বনাম নেদারল্যান্ডসের ম্যাচকেও ছাপিয়ে গেল (১৬টি হলুদ কার্ড)।
আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বলেন, 'কোনো কারণ ছাড়াই তিনি ইনজুরি টাইম ১০ মিনিট দেন। আমাদের বক্সের বাইরেই ২-৩টে ফ্রি-কিক দেন। তিনি চাইছিলেন যেভাবেই হোক তাদেরকে (নেদারল্যান্ডস) জেতাতে। তাই আমরা কোনোমতেই ওই রেফারিকে চাই না। তিনি কোনও কাজের নন।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন