জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করেছে জাপান। মাঠে বল পায়ে সমর্থকদের মন জয় করেছেন জাপানি ফুটবলাররা। অন্যদিকে খেলার শেষে যে দৃশ্য দেখা গেলো তাও অভাবনীয়। বিশ্ববাসীর কাছে একপ্রকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন জাপানি দর্শকরা।
শোনা যায় জাপানের নর্দমাগুলি এতটাই স্বচ্ছ যে তাতে ছোটো মাছেদের আনাগোনা পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। কথাটা যে একেবারেই ভুল নয় তার প্রমাণ পেলো কাতারের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে গেলে আমরা সাধারণত নিজেদের পছন্দের বিভিন্ন ধরণের খাবার নিয়ে যায়। এই খাবার খেতে খেতেই প্রিয় দলের খেলা উপভোগ করি আমরা। এরপর স্টেডিয়ামের মধ্যেই সেইসমস্ত খাবারের খালি প্যাকেট, ঠান্ডা পানীয়ের গ্লাস ফেলে দিয়ে চলে আসি। জাপানিরা এখানেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। নিজেদের খাদ্য দ্রব্যের সমস্ত খালি প্যাকেট ও জলের বোতল বড়ো বড়ো ক্যারিব্যাগে ভর্তি করে আবর্জনা ফেলার স্থানে জমা করলেন তাঁরা। শুধু নিজেদেরই নয় অন্য দর্শকদেরও ফেলে যাওয়া প্যাকেটগুলি তুলে জমা করেন নিজেদের ব্যাগে। জাপান ফ্যানেদের এই কাজ দেখে কুর্নিশ জানিয়েছে ফিফাও। নিজেদের টুইটারে এই নিয়ে এক্তি ভিডিও পোস্ট করেছে ফিফা কর্তৃপক্ষ।
বধুবারের ম্যাচ যেন আর্জেন্টিনা বনাম সৌদি আরবের রিপিট টেলিকাস্ট। প্রথমার্ধে জাপানের গোলকিপারের সামান্য ভুলে পেনাল্টি পায় জার্মানি। তা গোলে রূপান্তরিত করেন ইলকেয় গুন্দোগান (৩৩মিনিট)। প্রথমার্ধে প্রায় ৯০% বল নিজেদের দখলে রাখে জার্মানি। একাধিক সুযোগ পেয়েও তা কার্যকর করতে পারেননি মুলাররা। দ্বিতীয়ার্ধে বার বার জার্মান ডিফেন্সে হানা দেয় জাপান। ৭৫ মিনিটে সমতা ফেরান রিৎসু দোয়ান। সমতা ফেরানোর ঠিক ৮মিনিটের মাথায় জয়সূচক গোলটি করেন জাপানের টাকুমা আসানো।
গোটা ম্যাচ জুড়ে মোট ২৬টা শট নিয়েছে জার্মানি। অন টার্গেট ৯টা। নিজেদের মধ্যে ৭৭১টি পাস খেলেছে মুলাররা। জাপান খেলেছে মাত্র ২৬৯টি পাস। শট নিয়েছে ১২টা। আর অন টার্গেট মাত্র ৪টে। দুই দলই ৪টে করে অফসাইড করেছে। জয়ের সুবাদের ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ই-র দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান। গোল পার্থক্যের বিচারে একই পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে স্পেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন