২০১০ সালে ২০ বছর বয়সে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেই আলো ছড়িয়েছিলেন টমাস মুলার। পাঁচ গোল আর তিন অ্যাসিস্টের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে জিতে নিয়েছিলেন গোল্ডেন বুট। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কান্ডারি ছিলেন এই মিডফিল্ডার। অধিনায়ক ফিলিপ লাম, ওজিল, বাস্তিয়ান, খেদিরা, ক্লোজে থেকে শুরু করে বহুদিনের সহযোদ্ধা টনি ক্রুজ - সবাই জানিয়েছেন বিদায়। জার্মান দলের একা কুম্ভ হয়ে আজও উজ্জ্বল টমাস মুলার। বিশ্ব ফুটবলে তাঁর খেলার ধরন অদ্বিতীয়। তাঁর মতো প্রফেশনাল ফুটবলার বিপক্ষ দলের কাছে একপ্রকার ত্রাস। কাতার বিশ্বকাপে যার উপর থাকবে বিশ্ব ফুটবলের চোখ।
২০১০ বিশ্বকাপে সাড়া জাগানো সেই ২০ বর্ষীয় তরুণ তারকা বিশ্ব ফুটবলে নিজের জায়গা পাকা করেছেন নিজের স্টাইলেই। কাতার বিশ্বকাপে খেলা সমস্ত ফুটবলারদের থেকে বিশ্বকাপে গোল ও অ্যাসিস্টের নিরিখে সবার আগেই তিনি। বিশ্বকাপে দশ গোল এবং ছয় অ্যাসিস্টের মালিক টমাস মুলার। কাতার বিশ্বকাপে জার্মান দলের সেনাপতি তিনিই।
টমাস মুলারকে বলা হয় মিস্টার রমডয়টার। যার বাংলা প্রতিশব্দ বলে কিছু নেই। বলা যেতে পারে ছায়ামানব। হ্যাঁ ছায়ামানবই বটে। ফুটবলের ময়দানে মুলার সশরীরে ছায়ার মতোই ঘুরে বেড়ান। রমডয়টার পজিশন-এর ফুটবলারের আসলে কোনও পজিশন হয় না। মুলার এই পজিশন নিজেরই করে নিয়েছেন। তাঁর আসল কাজ সারা মাঠের যে কোনও জায়গায় স্পেস খুঁজে বের করা। আর সেখান থেকে আক্রমণ দাগা। বিপক্ষ দলের মুলারকে আটকানোর মতো কোনো অস্ত্রই জানা নেই। কোথা থেকে উদয় হয়ে যে বিপক্ষ দলের জালে বল জড়িয়ে দেন তা বোঝা অসম্ভব।
আসন্ন বিশ্বকাপে জার্মানিকে চ্যাম্পিয়ন করাই লক্ষ্য মূলারের। নতুন দল নিয়ে লড়াইটা সহজ হবে না। তবে মুলার বদ্ধপরিকর। এই জার্মান মহাযোদ্ধা ব্যক্তিগত সাফল্যকে কখনোই খুব একটা গুরুত্ব দেন না। স্কোরশিটে তাঁর নাম উঠলো কিনা সে বিষয়ে ভাবেন না। জার্মানি টিম গেমে বিশ্বাসী। আর জার্মান দলকে কাতার বিশ্বকাপে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখন তাঁর কাঁধেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন