কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে খেলতে পারবেন না নেইমার। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে জয়ের রাতে বেশ বড় ধাক্কা খেয়েছে তিতের দল। ম্যাচের ৭৮ মিনিটের মাথায় সার্ব ডিফেন্ডার নিকোলা মিলেনকোভিচের ফাউলের শিকার হয়ে গোড়ালি মচকে যায় সেলেসাওদের প্রাণভ্রোমরা নেইমারের। মাঠ ছেড়েই মুখ ঢাকেন তিনি। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল নেইমারের যন্ত্রণা আর আক্ষেপ। বিশ্বকাপ বরাবরই ভুগিয়েছে তাঁকে। এবারও এক ম্যাচের পর চোটে জর্জরিত হয়ে পড়লেন। তবে কাতার বিশ্বকাপে হাল ছাড়ছেন না তিনি। গ্রুপ পর্বে না খেলতে পারলেও নক আউটে সুস্থ হয়ে ফিরবেন।
নেইমার তাঁর পোস্টে লেখেন, "ব্রাজিলের জার্সি পরার গর্ব এবং ভালবাসা বোঝানো সম্ভব নয়। আমাকে যদি ঈশ্বর জিজ্ঞেস করেন আবার কোন দেশে জন্ম নিতে চাও, আমি বলব ব্রাজিল। আমি জীবনে সবকিছু সহজে পেয়ে গিয়েছি, এমন নয়। আমাকে সব সময় নিজের স্বপ্ন এবং লক্ষ্যের দিকে দৌড়তে হয়েছে। কখনও কারও খারাপ চাইনি। সকলকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। আমার জীবনের আরও একটা কঠিন সময়। আবার একটা বিশ্বকাপেই চোট পেলাম। হ্যাঁ, চোট রয়েছে আমার। কষ্ট হচ্ছে। ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে আমার। সেই চেষ্টা আমি করব। দেশ, সতীর্থ এবং নিজের জন্য ফিরে আসতে হবে। আমাকে এই ভাবে মারার জন্য শত্রুদের খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। আমি ঈশ্বরের পুত্র, তাঁর উপর বিশ্বাস আছে আমার।"
২০১৪ বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার বিপক্ষে খেলতে গিয়ে ভয়াবহ চোট পান নেইমার। হয়তো সেখানেই শেষ হয়ে যেত তাঁর ফুটবল কেরিয়ার। সেখান থেকে কামব্যাক করে ফের দলে ফেরেন। রাশিয়া বিশ্বকাপেও চোট পান। কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবার তিনি আছেন। সেলেসাওদের ষষ্ঠ খেতাব জেতাতে তিনি সব করতে প্রস্তুত। কিন্তু এবারও এক ম্যাচ খেলেই চোট পেলেন। তিতের কাছে বিকল্প থাকলেও নেইমারের অনুপস্থিতিতে ব্রাজিলের লড়াই যে সহজ হবে না তা অনুমান করা যেতে পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন