বিশ্বকাপের জন্য কাতারে মোট ৮টি স্টেডিয়াম বাছাই করা হয়েছে। তার মধ্যে সব থেকে পুরনো হল খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। বহু ম্যাচের সাক্ষী এই ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপে নতুন রূপে ফুটবল বিশ্বের কাছে আত্মপ্রকাশ করবে এটি।
কাতারে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হোক বা এশিয়ান গেমস প্রথমেই নাম আসে এই স্টেডিয়ামের। দোহাতেই এর অবস্থান। ১৯৭৬ সালে খোলা হয় খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। ২০০৫ সালে সংস্কার করা হয়। বিশ্বকাপের জন্য ফের ২০১৪-২০১৭ সাল পর্যন্ত কাজ চলে।
সাধারণত ২০ হাজার দর্শক বসার ব্যবস্থা আছে। ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য তা বাড়িয়ে ৪০ হাজার করা হয়েছে। স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য বাড়াতে প্রায় ৩০,০০০ পরিযায়ী শ্রমিককে কাজে লাগানো হয়েছিল।
২০০৪ সালে ১৭তম আরবিয়ান গলফ কাপ, ২০০৬-এ এশিয়ান গেমস, ২০১১-তে এএফসি এশিয়ান কাপ, পান আরব গেমস, ২০১৯ সালে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ ইন অ্যাথলেটিক্স, ২৪তম আরবিয়ান গলফ কাপ এবং ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ আয়োজন করেছিল এই স্টেডিয়াম। ২০১১ এএফসি এশিয়ান কাপের গ্রুপ পর্যায় ছাড়াও কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ফাইনাল ও ফাইনাল এই স্টেডিয়ামেই হয়েছিল।
বিশ্বকাপের মোট ৮টি ম্যাচ এই স্টেডিয়ামেই হবে। প্রথম ম্যাচ হবে ইংল্যান্ড বনাম ইরান (২১ নভেম্বর)। দ্বিতীয় ম্যাচ হবে জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে (২৩ নভেম্বর)। নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডরের মধ্যে তৃতীয় ম্যাচ হবে ২৫ নভেম্বর। এই স্টেডিয়ামে চতুর্থ ম্যাচ হবে ক্রোয়েশিয়া বনাম কানাডা (২৭ নভেম্বর)। পঞ্চম ম্যাচ খেলবে ইকুয়েডর ও সেনেগাল (২৯ নভেম্বর)। জাপান ও স্পেন ষষ্ঠ ম্যাচ খেলবে (১ ডিসেম্বর)। সপ্তম ম্যাচ হবে ৩ ডিসেম্বর, গ্রুপ এ-র প্রথম ও গ্রুপ বি-র দ্বিতীয়ের মধ্যে। অষ্টম ম্যাচ হবে ১৭ ডিসেম্বর বিশ্বকাপের (তৃতীয় স্থান অর্জনের ম্যাচ)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন