জীবনযুদ্ধে হার মানলেন কলকাতার দুই প্রধানের হয়ে খেলা কিংবদন্তী গোলরক্ষক সনৎ শেঠ। প্রয়াত কিংবদন্তী চুনী গোস্বামী ও পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে খেলা বাংলার এই গোলরক্ষক শুক্রবার পানিহাটিতে নিজের বাড়িতেই সকাল ১০ টা ৪০ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জানা গিয়েছে দশমীর দিন থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। হাঁটতে পারতেন না। ক্রাচই ছিলো ভরসা। ক্রমশ শরীরের অবনতি ঘটতে থাকার পর শুক্রবার প্রয়াত হন 'ময়দানের বাজপাখি'।
১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই দশক ময়দানের ক্রস বারের নীচে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়েছিলেন সনৎ শেঠ। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানে দাপিয়ে খেলার পাশাপাশি ইস্টার্ন রেল এবং এরিয়ান্সের হয়েও নজর কেড়েছিলেন সনৎ। খেলেছেন বাংলার হয়েও। ১৯৫৪-র ম্যানিলা এশিয়ান গেমসে জাতীয় দলেও ছিলেন তিনি। তবে প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ হয়নি। চতুর্দলীয় প্রতিযোগিতায় পরপর দু’বছর ভারতীয় দলে ছিলেন। ১৯৫৫ সালে রাশিয়া সফরেও গিয়েছিলেন তিনি।
সনৎ তাঁর ফুটবল কেরিয়ার শুরু করেন রেলওয়ে এফসি-র হয়ে। ১৯৫২ সালে যোগ দেন এরিয়ান্সে। এরপর ১৯৫৭ সালে লাল-হলুদদের দলে যোগ দেন। এক বছর পরেই আসেন কলকাতার অন্য প্রধান মোহনবাগানে। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত খেলার পর আবার এরিয়ান্সে ফিরে যান। ১৯৬৮ সালে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার পরেই ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি।
চুনী গোস্বামী এবং পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত হওয়ার পর বলেছিলেন, "চুনী-প্রদীপও চলে গেল! বয়সে একটু ছোট হলেও একসঙ্গে খেলেছি। চুনী অনেকটাই ছোট ছিল। ঘরে বসে খবর শুনছিলাম। চুনীর চলে যাওয়ার খবরে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গিয়েছে।" বছর দুয়েক আগে স্ত্রীকে হারানোর পর ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন। পুত্র, পুত্রবধূ এবং দুই নাতনিকে নিয়েই পানিহাটিতে থাকতেন এই গোলরক্ষক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন