বরাবর ঠোঁটকাঁটা হিসেবে পরিচিত ময়দানের বাবলু অর্থাৎ প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচাৰ্য। এবার তিনি কলকাতা ময়দানে তৃণমূল নেতাদের বাড়াবাড়ি নিয়ে মুখ খুললেন।
শনিবার এক অনুষ্ঠানে সুব্রত ভট্টাচাৰ্য বলেন, ময়দানের পরিবেশ সত্যিই বদলে গেছে। এখন আর ইচ্ছা করে না বেশি ময়দানে আসতে। ক্ষমতার বলে বর্তমান শাসকদলের নেতারা ক্লাবগুলোর বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। তাঁরা যদি ফুটবলটা বুঝতেন তাহলেও হয়তো কোনও লাভ হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। কিন্তু এঁদের একটা বড় অংশ ফুটবলের কিছুই বোঝেন না। তাই সমস্যা হচ্ছে।'
এরপর বাম আমলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,'অতীতে সৌমেন মিত্ররা ক্লাবে আসতেন। বাম সরকার যখন ছিল, সেই সময়েও নেতারা ক্লাবে আসতেন, কিন্তু তাঁরা কেউ মাথা ঘামাতেন না। মুখ্যমন্ত্রী ফুটবলের উন্নতির জন্য ক্লাবদের সাহায্য করছে এটা যদিও ভালো বিষয়। তবে তৃণমূল নেতা আর শাসক দলের সঙ্গে থাকা কিছু অযোগ্য প্রাক্তন ফুটবলার ক্লাবগুলোর মাথায় থাকায় ফুটবলের উন্নতি হচ্ছে না।'
গত কয়েক বছরে বাংলার ফুটবলের ইতিহাস যদি দেখা যায় তাহলে দেখা যাবে মোহনবাগান ক্লাবের সহসভাপতি পদে রয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, মোহনবাগানের ফুটবল সচিব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই স্বপন বন্দোপাধ্যায়। আইএফএ’র সহ সভাপতি ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাস। আইএফএর গভর্নিং বডিতে রয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। এছাড়া সিএবির সভাপতি কে হবেন থেকে শুরু করে ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর ঠিক করা – গত কয়েক বছরে এই সমস্ত কিছুই নবান্ন থেকে ঘোষিত হয়েছে। শাসকদলের এভাবে ময়দানের বিষয়ে বারবার হস্তক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়েছে।
এদিন সুব্রত ভট্টাচাৰ্য কলকাতা লিগে বিদেশী না খেলানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তার মতে আইএসএলেও এই বিদেশী কোচ আর বিদেশী প্লেয়ারদের বাড়াবাড়ি বন্ধ করা উচিত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন