বিশ্বকাপে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন ফ্রান্সের দুই তারকা ফুটবলার। দেশে ফিরে তারই খেসারত দিতে হচ্ছে ওই দুজনকে। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে দেশে ফিরতেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার কিংসলে কোমান ও অরেলিয়েঁ সুয়ামেনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশকিছু ফ্রান্স সমর্থক ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই কিংসলে কোমান ও সুয়ামেনিকে হারের জন্য দায়ী করেছেন। ওই দুই ফুটবলারের বর্ণ নিয়েও সুর চড়িয়েছেন তাঁরা।
এই ঘটনাআর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে কোমানের ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। বায়ার্নের তরফ থেকে বলা হয়, ‘কিংসলে কোমানের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছে এফসি বায়ার্ন। বায়ার্ন পরিবার কিংসলের পাশে আছে। আমাদের সমাজে বা খেলায় বর্ণ বিদ্বেষের কোনো স্থান নেই’।
ফাইনালে ৮০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপ্পে। নিজের প্রথম গোলের দু মিনিটের মধ্যেই দ্বিতীয় গোলটি করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান সেই এমবাপ্পেই। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ১২০ মিনিটে।
১০৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোল করেন বাঁ পায়ের জাদুকর। ১১৮ মিনিটে ফ্রান্সকে ফের সমতায় ফেরান এমবাপ্পেই। টাইব্রেকারে কোমানের শট সেভ করে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সুয়ামেনি মারেন তেকাঠির বাইরে। অবশেষে টাইব্রেকার থেকে চার দুই গোলে বিশ্বকাপ যেতে আর্জেন্টিনা।
ফুটবলারদের বিরুদ্ধে বর্ণ বিদ্বেষ প্রথম নয়। বিশ্বকাপ শুরু আগে ব্রাজিলের ভিনিসিয়াসের সাথেও একই ঘটনা ঘটে। মায়োর্কার বিপক্ষে রিয়ালের ৪-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে গোল করার পর তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র নেচে উদযাপন করেন। তবে এমনটা করে বর্ণবাদী মন্তব্যের শিকার হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন