টনি ক্রুজের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন জার্মানির টমাস মুলার। ১৪ বছরের কেরিয়ারের ইতি টানলেন তিনি।
সোমবার নিজের ইনস্টাগ্রামে জাতীয় দল থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেন মুলার। জার্মান দলের হয়ে সর্বাধিক ম্যাচ খেলা ফুটবলারের তালিকায় তিনি রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। প্রথমে আছেন লোথার ম্যাথিউজ। তিনি ১৫০টি ম্যাচ খেলেছিলেন দেশের হয়ে। ১৩৭ ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় স্থানে মিরোস্লাভ ক্লোজে।
জার্মানির অনূর্ধ্ব-১৬, ১৯, ২০ এবং ২১ দলের হয়ে খেলেছেন মুলার। ২০১০ সালে জার্মানির সিনিয়র দলে অভিষেক হয় মুলারের। দেশের হয়ে ১৩১টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। গোল করেছেন ৪৫টি। স্ট্রাইকার এবং অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার এই দুই পজিশনেই খেলতে পারেন তিনি। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপজয়ী জার্মান দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপে নজরকাড়া ফুটবল খেলেছিলেন মুলার। টুর্নামেন্টের সেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি দিয়েগো ফোরলান, ডেভিড ভিয়া, স্নেইডারদের সাথে তিনিও ৫ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, টমাস মুলারকে জার্মান ফুটবলে বলা হয় মিস্টার রমডয়টার। যার বাংলা প্রতিশব্দ বলে কিছু নেই। বলা যেতে পারে ছায়ামানব। ফুটবলের ময়দানে মুলার সশরীরে ছায়ার মতোই ঘুরে বেড়ান। রমডয়টার পজিশন-এর ফুটবলারের আসলে কোনও পজিশন হয় না। মুলার এই পজিশন নিজেরই করে নিয়েছেন। তাঁর আসল কাজ সারা মাঠের যে কোনও জায়গায় স্পেস খুঁজে বের করা। আর সেখান থেকে আক্রমণ দাগা। বিপক্ষ দলের মুলারকে আটকানোর মতো কোনো অস্ত্রই জানা নেই। কোথা থেকে উদয় হয়ে যে বিপক্ষ দলের জালে বল জড়িয়ে দেন তা বোঝা অসম্ভব।
এর আগে ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা করেন জার্মান তারকা টনি ক্রুজ। তিনিও ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী জার্মান দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন