বিশ্ব ক্রিকেটে আধিপত্য বিস্তার করছে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের টি-টোয়েন্টি লিগে দলগুলোর পেছনে বিনিয়োগ করেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস। সম্প্রতি ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি লীগের ছয়টি দলই কিনেছে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। এছাড়া ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগেও একাধিক দল রয়েছে তাদের। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়াম লীগের বিশ্বব্যাপী এই একচেটিয়া আধিপত্যকে বিপজ্জনক বলে মনে করেন কিংবদন্তী অজি উইকেটরক্ষক অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।
অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লীগকে 'না' করে সম্প্রতি আমিরাত টি-টোয়েন্টি লীগে নাম লিখিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপরেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনটি বিশ্বকাপজয়ী অজি তারকা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে তিনি এবিষয়ে বিবেচনা করার জন্যেও বলেছেন। তার কারণ ওয়ার্নারের পথ অনুসরণ করে অন্যান্য ক্রিকেটাররাও একই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে মনে করেন তিনি।
সেনের হোয়াটলি রেডিও শোতে গিলক্রিস্ট বলেন, "তারা ডেভিড ওয়ার্নারকে বিবিএলে খেলতে জোর করতে পারে না। আমি বুঝি সেটা। কিন্তু তাকে ছেড়ে দিলে অন্য খেলোয়াড়রাও একই পথ নেবে। আর এটি ঘটছে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলি আধিপত্যের কারণে। তাদের একচেটিয়া আধিপত্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি তারা তাদের প্রতিভার মালিকানাও পাচ্ছে। তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে কোথায় খেলতে হবে আর কোথায় খেলতে হবে না।"
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন উইকেটকিপার আরও বলেন," যদি ওয়ার্নার দিন শেষে বলে, 'দুঃখিত অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট, আমি বিভিন্ন টুর্নামেন্টে আমার ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর জন্য খেলতে যাচ্ছি।' তাহলে এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবেন না, এটা তার বিশেষ অধিকার। বেশি বাজার মূল্য পেতে যা প্রয়োজন সেটাই করবে সে। কিন্তু যারা নতুন তরুণ খেলোয়াড় আসছে, তারাও যদি এই পথ অনুসরণ করে তাহলে এটা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে।”
দেশের জার্সিতে ৯৬ টি টেস্ট, ২৮৭ টি ওডিআই এবং ১৩ টি টি-টোয়েন্টি খেলা গিলক্রিস্ট আইপিএলেও অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। তৎকালীন ডেকান চার্জস এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে তাঁর নেতৃত্বেই শিরোপা জেতে ডেকান চার্জার্স।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন