চলতি বছরেই বিশ্বকাপ। এবারের আসর বসছে ভারতে। আর এই বিশ্বকাপে সূর্যকুমার যাদবের ওপর বড় আস্থা রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। কিন্তু সম্প্রতি সূর্যকুমারের ফর্ম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাদা বলের ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন তিনি। শেষ ছয় ম্যাচের চারটিতেই হয়েছেন গোল্ডেন ডাক।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছেন সূর্যকুমার। অজিদের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজে পরপর তিন ম্যাচেই গোল্ডেন ডাক, অর্থাৎ প্রথম বলেই শূন্য রানে ফিরে যান সূর্য। সেই ব্যর্থতার পর আইপিএলেও ছন্দ খুঁজে পাননি তিনি।
গতকাল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষেও গোল্ডেন ডাক হয়েছেন সূর্যকুমার। মুকেশ যাদবের বলে কুলদীপের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। আইপিএলে তিন ম্যাচে মুম্বইয়ের এই ব্যাটারের স্কোর যথাক্রমে ১৫, ১ এবং ০। গতকাল দিল্লির বিরুদ্ধে মুম্বই জয় পেলেও সূর্যের ফর্ম নিয়ে উদ্বিগ্ন দল।
বিশ্বকাপের বছরে মিডিল অর্ডারে বড় দায়িত্ব সূর্যকুমারের ওপর। তার কারণ ঋষভ পান্ত এবং শ্রেয়স আইয়ার নেই। শ্রেয়স কবে সুস্থ হয়ে ফিরবেন তাঁর কোনো নিশ্চয়তা নেই। পান্তের বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না বলেই অনুমান করা যায়। এই পরিস্থিতিতে সূর্যের অফ ফর্ম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে টিম ইন্ডিয়ার।
দিল্লি ম্যাচের পর সূর্যকে অবশ্য ফর্মে ফেরার উপদেশ দিলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কোচ রবি শাস্ত্রী। শাস্ত্রী বলেন, "সুড়ঙ্গের শেষে আলো থাকে, সূর্যকুমার শীঘ্রই তা দেখতে পাবে। আর যখন সূর্য আলোটা দেখতে পাবে, তখন সে সেই সুযোগটা লুফে নেবে এবং সেটার সম্পূর্ণ ব্যবহার করবে বলেই আমার বিশ্বাস। ওর প্রতি আমার পরামর্শ হল তাড়াহুড়ো না করে ধৈর্য্য ধরো। টি-২০ ক্রিকেট খেললেও ইনিংসের শুরুতে নিজেকে কিছুটা বেশি সময় দিতে হবে সেট হতে। একটা ভালো হিট হলেই পরে সূর্য তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় খেলতে পারবেন। এটাই তাঁর প্রয়োজন। একটা ভালো হিট আর ক্রিজে কিছুটা সময় দেওয়া। ২০-৩০ মিনিট নয়,৬ বা ৮ বল সময় নিলেই আমার মনে হয় সূর্য ভালো খেলতে পারবে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন