ক্যাম্প ন্যূতে বার্সা দুর্গ একাই গুঁড়িয়ে দিলেন কিলিয়ান এমবাপে। পিএসজির দলে ছিলেন না নেইমার, ছিলেন না ডি মারিয়াও। নক আউট পর্বের প্রথম লীগে মেসিদের ঘরের মাঠে নামার আগে তাই পচেত্তিনোর কপালে ছিলো চিন্তার ভাঁজ। কিন্তু সমস্ত কিছুকে উড়িয়ে দিয়ে পুরো ম্যাচেই রং ছড়ালেন এমবাপে। তাঁর ছায়ায় ঢাকা পড়ে গেল মেসি থেকে গ্রিজম্যান।
গতরাতে রোনাল্ড ক্যোমেনদের দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই ফরাসি তারকা। এর আগে চ্যাম্পিয়নস লীগে ক্যাম্প ন্যূতে বার্সার বিপক্ষে কোনো ফুটবলার হ্যাটট্রিক করতে পারেনি। এমবাপে করলেন হ্যাটট্রিক, পিএসজি জিতলো ৪-১ ব্যবধানে।
অ্যাওয়ে ম্যাচে এই বড় ব্যবধানে জয়ে পরের রাউন্ডের দোরগোড়ায় কার্যত পৌঁছে গেলো প্যারিসিয়েনরা। যদিও ৪-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও পিএসজির বিরুদ্ধে কামব্যাক করার ইতিহাস রয়েছে বার্সেলোনার। তবে ১১ ই মার্চ দ্বিতীয় লীগের ম্যাচ রয়েছে পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে। ডি মারিয়া ফিরবেন, ফিরতে পারেন নেইমারও। তাই কাতালান জায়ান্টদের ওই ম্যাচ জিততে হলে মিরাকেল করতে হবে।
এদিন প্রথমার্ধে শুরুটা ভালো হয় বার্সারই। ম্যাচের ২৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে কাতালান ক্লাবটিকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক লিও মেসি। তবে এই লীড তারা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। ৩২ মিনিটে মার্কো ভিরাতির পাস থেকে গোল করে পিএসজিকে সমতা এনে দেন এমবাপে।
প্যারিসিয়েনরা গোল উৎসবে মাতে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে। ৬৫ মিনিটে পিএসজিকে ২-১ ব্যবধানে লীড এনে দেন সেই এমবাপেই। এর ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই পচেত্তিনোর ছাত্ররা তৃতীয় গোলটি পেয়ে যায়। লিঁয়াদ্রো পারেদেসের বাড়ানো পাসে এবার গোল করেন ময়েস কিন।
ম্যাচের বয়স যখন ৮৫ মিনিট, জুলিয়ান ড্রাক্সলারের বাড়ানো পাসে দুরন্ত গোলে বার্সেলোনা কফিনে শেষ পেরকটি পুঁতে দেন ২২ বর্ষীয় ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে। সেইসঙ্গে পূর্ণ করেন নিজের হ্যাটট্রিকও। ৪-১ গোলে পর্যুদস্ত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মেসিদের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন