ভারতীয় ফুটবলে এ যেন নতুন যুগের সূচনা। এতদিন সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনাল, ফাইনাল ম্যাচগুলি হতো ভারতেই। এবার সেই ম্যাচ হচ্ছে সৌদি আরবে। সেমিফাইনালের পর সন্তোষ ট্রফির ফাইনালও হবে কিং ফাহাদ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। তার আগে এক নজরে দেখে নেয়া যাক কোন রাজ্যের ঝুলিতে কটা করে সন্তোষ ট্রফি রয়েছে।
১৯৪১ সালে প্রথম সন্তোষ ট্রফি শুরু হয়। অনুষ্ঠিত হয়েছিল কলকাতায়। ওই সালে দিল্লিকে হারিয়ে প্রথম সন্তোষ ট্রফি যেতে বাংলা। পরের বার টুর্নামেন্টের ফাইনালে অবশ্য বাংলাকে ২-০ গোলে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নেয় দিল্লি। রাজ্যভিত্তিক ট্রফি জয়ের পরিসংখ্যানে সব থেকে এগিয়ে বাংলাই।
বাংলার ঝুলিতে রয়েছে ৩২ টি সন্তোষ ট্রফি। ১৪ বার তারা রানার্স-আপ হয়। শেষবার ট্রফি জিতেছিল ২০১৬-১৭ মরশুমে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাঞ্জাব। আটটি জয় ও আটবার রানার্স-আপ। শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০০৭-৮ মরশুমে। ৭টি সন্তোষ ট্রফি জিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গতবারের বিজয়ী কেরালা। আটবার ভারতের এই রাজ্য দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।
চতুর্থ স্থানে রয়েছে সার্ভিসেস। তাদের ঝুলিতে ছ'টি সন্তোষ ট্রফি রয়েছে। রানার্স-আপ হয়েছে পাঁচবার। শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ২০১৮-১৯ মরশুমে। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ও আটবারের রানার্সআপ হয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে গোয়া। ভারতের সবথেকে ক্ষুদ্রতম রাজ্যটি শেষ বা সন্তোষ ট্রফি জিতেছিল ২০০৮- ৯ মরশুমে। এরপরে আছে মহারাষ্ট্র (৪টি জয়, ১২ বার রানার্স-আপ), শেষ জয় ১৯৯৯-২০০০ মরশুমে। কর্ণাটক (৪টি সন্তোষ ট্রফি, ৫বার দ্বিতীয় স্থান) শেষ জয় ১৯৬৮-৬৯ সালে, রেলওয়েজ (৩টি শিরোপা, ৬ বার রানার্স-আপ)। অন্ধ্রপ্রদেশ (৩টে সন্তোষ ট্রফি, ৩ বার দ্বিতীয় স্থান), দিল্লি ও মনিপুর জিতেছে ১ বার আর রানার্স-আপও হয়েছে ১ বার। মিজোরামের ঝুলিতে রয়েছে ১টি সন্তোষ ট্রফি। তামিলনাড়ু ২ বার ফাইনালে উঠলেও ট্রফি জিততে ব্যর্থ হয়।
উল্লেখ্য, এই প্রথম সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে উঠেছে মেঘালয়। সেমিফাইনালে তারা পাঞ্জাবকে ২-১ গোলে হারিয়েছে। অন্য সেমিফাইনালে সার্ভিসেসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে কর্ণাটক। সুতরাং, শনিবার সৌদি আরবে নতুন ইতিহাস রচনা করবে মেঘালয় নাকি নিজেদের পঞ্চম ট্রফি জিতবে কর্ণাটক তা সময় বলবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন