১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে পুরুষদের হকি বিশ্বকাপ (FIH Hockey World Cup)। চলবে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবারে আয়োজনের দায়িত্বে ভারত। ওড়িশার দুটি স্টেডিয়ামে শিরোপা জেতার লড়াইয়ে নামবে ১৬টি দল। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ওই দুই স্টেডিয়ামের খুঁটিনাটি।
হকি বিশ্বকাপ হবে ওড়িশার কলিঙ্গ স্টেডিয়াম ও বীরসা মুন্ডা আন্তর্জাতিক হকি স্টেডিয়ামে। ১২টি ম্যাচ হবে বীরসা মুন্ডা স্টেডিয়ামে। কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে হবে ২৩টি ম্যাচ। ক্রস ওভার থেকে শুরু করে ফাইনাল পর্যন্ত সব কটি ম্যাচই হবে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে।
কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের অবস্থান ভুবনেশ্বরের বিদ্যুতমার্গে। স্টেডিয়াম পরিচালনা করে স্পোর্টস অ্যান্ড ইয়ুথ সার্ভিস (DSYS)। আসন সংখ্যা ১৫-১৬ হাজার। ১৯৭৮ সালে এই স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়। এটি একটি মাল্টি পার্পস স্টেডিয়াম। এর একটি অংশে হকি বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হবে। শুধু হকি নয় এই স্টেডিয়ামে ফুটবলও খেলা হয়। আই-লিগের দল ইন্ডিয়ান অ্যারোজের হোম গ্রাউন্ড এটি।
তবে এটাই প্রথম নয় এর আগেও বিশ্বকাপ আয়োজনের অভিজ্ঞতা রয়েছে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের। হকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (২০১৪), পুরুষদের হকি ওয়ার্ল্ড লিগ (২০১৬-১৭), পুরুষদের হকি বিশ্বকাপ (২০১৮), হকি সিরিজ ফাইনালস (২০১৮-১৯), এফআইএইচ হকি জুনিয়র ওয়ার্ল্ড কাপ (২০২১) সহ একাধিক বড় বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে এই স্টেডিয়াম।
১২০ কোটি টাকা খরচের বিনিময়ে তৈরি করা হয় বীরসা মুন্ডা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। ওড়িশার রৌরকেল্লায় অবস্থিত স্টেডিয়ামটি। ২১ হাজার দর্শক একসাথে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবে। বিশ্বকাপকে লক্ষ্য করেই স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটিই ভারতের মধ্যে সর্ববৃহৎ হকি স্টেডিয়াম। ওড়িশা সরকার ১৫ একর জমি দিয়েছিল স্টেডিয়ামের জন্য।
স্টেডিয়াম নির্মাণের দায়িত্বভার দেওয়া হয় ওড়িশা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচর ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনকে (IDCO)। আইডিসিও-র চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, সরকারের পক্ষ থেকে জমি দিয়ে বলা হয়েছিল ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বমানের হকি স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে হবে। আমরা সেইমতো কাজ করি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন