লড়াই করেও শেষ রক্ষা হলোনা। প্রথমবার আই-লিগ জয়ের দোরগোড়ায় এসেও খালি হাতেই মরশুম শেষ করতে হচ্ছে মহামেডান স্পোর্টিংকে। প্রতি আক্রমণেই বাজিমাৎ করে টানা দ্বিতীয় বার আই-লিগ ঘরে তুললো গোকুলাম কেরালা। শিরোপা নির্ধারক ম্যাচে গোকুলামের পক্ষে ফলাফল ২-১। গোকুলামের হয়ে গোল করেছেন রিশাদ এবং এমিল বেনি।
আই-লিগ জয়ের জন্য গোকুলামের বিপক্ষে জিততেই হতো মহামেডানকে। তবেই মোহনবাগানের পর কলকাতার দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে(আই-লিগ নাম হওয়ার পর জাতীয় লিগ জেতেনি ইস্টবেঙ্গল) আই-লিগ ঘরে তুলতো ১৩১ বছরের মহামেডান। ম্যাচের আগে সাদা-কালো ব্রিগেডের কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ বলেই দিয়েছিলেন, "এটা আমাদের জীবনের ম্যাচ। আমরা খেতাবের জন্য লড়াই করছি।" তবে সে স্বপ্ন ভঙ্গ হলো দ্বিতীয়ার্ধে কেরালার দাপটে।
যুবভারতী উপচে পড়েছিলো দর্শকদের ভিড়। মহামেডানকে সমর্থনের জন্য গ্যালারি ভরিয়েছিলেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরাও। স্টেডিয়ামে দেখা যায় সবুজ-মেরুন, লাল হলুদ পতাকাও। লড়াকু ম্যাচে প্রথমার্ধে বল দখল বেশি রাখলেও গোলের দেখা পায়নি মহামেডান। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে কেরালা নিজেদের গুছিয়ে নেয়। আক্রমণের জবাবে রক্ষণাত্মক ফুটবলের পরিবর্তে প্রতি আক্রমণ হানে তারা। আর তাতেই সফল হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর পাঁচ মিনিটের মাথায় লুকা মাজসেনের ক্রস থেকে দুর্দান্ত ফিনিশ করেন রিশাদ। গোল হজম করে মারাত্মক চাপে পড়ে সাদা-কালো জার্সিধারীরা। তবে গোল হজম করার অল্প সময় বাদেই মার্কাস জোসেফের ফ্রী-কিক থেকে আজাহারউদ্দিন মল্লিকের গায়ে লেগে বল গোকুলামের জালে জড়িয়ে যায়। যুবভারতীতে প্রাণ ফিরে পায় সমর্থকরা।
তবে বেশিক্ষণ সমতা ধরে রাখতে পারেনি ব্ল্যাক প্যান্থাররা। ৬০ মিনিটের মাথায় লুকা মাজসেনের বাড়ানো পাস থেকে মহামেডানের স্বপ্ন ভঙ্গ করে গোকুলামকে এগিয়ে দেন ২১ বর্ষীয় তরুণ ভারতীয় ফরোয়ার্ড এমিল বেনি। ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ১৮ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে খেতাব ধরে রাখলো গোকুলাম। ১৮ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়েই থামতে হলো মহামেডানকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন