এরিয়ানের সৈকত সরকারের গোল এবার পুসকাস পুরস্কারে। বিশ্ব ফুটবল সংস্থা ফিফার কাছে পৌঁছে গেলো বঙ্গ ফুটবলারের গোল। ফিফার বর্ষসেরা গোলের পুরস্কারের জন্য ভিডিও পাঠালো আইএফএ।
শ্যাম থাপার স্মৃতি ফেরালেন কল্যাণীর সৈকত। দমদমের সুরের মাঠ অর্থাৎ অমল দত্তর নামাঙ্কিত মাঠে ক্যালকাটা কাস্টমসের বিরুদ্ধে পেনাল্টি বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক পায় এরিয়ান। ফ্রি-কিকের বল দুরন্ত সাইড ভলিতে কাস্টমসের জালে জড়ান সৈকত। শ্যাম থাপা, বাইচুং ভুটিয়াদের বাইসাইকেল কিক কিংবা সাইডভলিতে করা সেইসমস্ত গোলের স্মৃতি ফিরে এলো সৈকতের গোলে৷ যদিও ওই ম্যাচে সৈকতের দল এরিয়ান কাস্টমসের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায়। ম্যাচ শেষে সৈকত জানান, 'মাঠে কাদা ছিল। তাই কোনো চিন্তাভাবনা না করেই শটটা মারি। বাঙালিতো ব্যাকভলি মারতে ভালোবাসেই'।
আপাতত সৈকতের টার্গেট একটা চাকরি পাওয়া আর আইএসএল এবং ভারতীয় দলে নিজের জায়গা করা। বিদেশি না থাকায় কলকাতা লিগ থেকে অনেক প্রতিশ্রুতিবান ফুটবলার উঠে আসছে।
অন্যদিকে জমে উঠেছে কলকাতা লিগ। অতীতে দেখা গিয়েছে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ময়দান মার্কেট (বিধান চন্দ্র মার্কেট, ধর্মতলা) থেকে একটা ট্রফি কিনে চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া হত। এবার সেই ভাবনা থেকে সরে এসে স্থায়ী ট্রফি নিয়ে এলেন আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত। এবার থেকে নির্দিষ্ট ট্রফি প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এমনটাই জানান আইএফএ সচিব। এমন উদ্যোগ আইএফএ–র ইতিহাসে প্রথম।
কলকাতা লিগের এই ট্রফিটি রুপোর তৈরি। ওজন ৭ কিলোগ্রাম। এই সুদৃশ্য ট্রফিটি স্পনসর করছে 'সত্যেন্দ্র ফুড প্রোডাক্ট'। আইএফএ অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে ‘সত্যেন্দ্র ফুড প্রোডাক্ট’-এর ডিরেক্টর সিমরান সাহু জানান, "আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত আমাদের কাছে এই নতুন ট্রফির প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন। আমরাও সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছি। বাঙালির রক্তে ফুটবল আছে। এই কাজে যুক্ত হতে পেরে ভালো লাগছে"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন