ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ স্টিমাচ ফুটবলার নামান জ্যোতিষশাস্ত্র মেনে! এক ইংরাজী দৈনিক সূত্রে এমনই খবর শোনা যাচ্ছে। ফেডারেশনের কর্তারাই নাকি জ্যোতিষীর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন ইগর স্টিমাচকে।
ক্রোয়েশিয়ান কোচ স্টিমাচের কোচিং-এ এগিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় ফুটবল। একাধিক সাফল্যও পেয়েছেন তিনি। তবে এর পেছনে নাকি রয়েছে জ্যোতিষী ভূপেশ শর্মার অবদান। সূত্রের খবর, এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ওই জ্যোতিষীর পরামর্শ মেনেই দল নামিয়েছিলেন তিনি। জ্যোতিষীর কাছে ফুটবলারদের তালিকা পাঠিয়ে দিতেন তিনি। তারপর কার সময় ভালো যাচ্ছে কার খারাপ এইসব বিবেচনা করে প্লেয়ার নির্বাচন করে দিতেন ভূপেশ শর্মা। এমনকি মাঠের মধ্যে পরিবর্তনের সময়ও নাকি জ্যোতিষীর পরামর্শ মাথায় রাখতেন স্টিমাচ।
সূত্র মারফত আরও জানা যাচ্ছে, ওই জ্যোতিষী ফুটবলারদের পাশে লিখে দিতেন কে আত্মবিশ্বাসী, কে দুরন্ত ছন্দে থাকবেন এইসব। কোচ স্টিমাচের সাথে ভূপেশ শর্মার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাস। প্রতি ম্যাচের দু'দিন আগে জ্যোতিষী এবং কোচ বৈঠক করতেন। মোবাইলেও নাকি কথা হতো দুজনের।
সচিব কুশল অবশ্য বলেন, ভূপেশকে কাজে লাগানো হয়েছিল দু'মাসের জন্য। ১২-১৫ লক্ষ টাকাও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এর থেকে বেশি কিছু নয়। ভারত এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করেছে এটাই গর্বের ব্যাপার।
জ্যোতিষী বিতর্কে মুখ খুলেছেন সুনীলদের হেড কোচ। তিনি বলেন, 'আমাকে বলা হয়েছিল দলের উন্নতির জন্য ভূপেশের সাথে আলোচনা করতে। আমি একজন বিদেশি সহকারী কোচ চেয়েছিলাম কিন্তু পাইনি। আসলে ভারতীয় ফুটবলে ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে সেই কারণেই আমাকে নিশানা করছে অনেকেই। কোনও মন্তব্য করার আগে সকলের উচিত দ্বিতীয়বার ভেবে দেখা'।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন