২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর, বিশ্ব ফুটবলকে স্তব্ধ করে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন দিয়েগো মারাদোনা। ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তীর মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মেনে নিতে পারেননি তাঁর দুই কন্যা। মেডিক্যাল স্টাফের গাফিলতির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছিলেন তাঁরা। আদালতের রায়ে এবার মারাদোনার মৃত্যুর সঙ্গে জড়িয়ে গেলেন আট জন মেডিক্যাল স্টাফ।
মারাদোনার মৃত্যুর পরেই তাঁর দুই কন্যা এবং আত্মীয় পরিজনেরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বুধবার আদালতের তরফ থেকে আট মেডিক্যাল স্টাফের ওপর গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে। স্নায়ু শল্যচিকিৎসক লিয়োপল্ডো লুক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অগাস্টিনো কোসাশভ এবং মনোবিজ্ঞানী কার্লোস ডিয়াজ, মেডিক্যাল কো অর্জিনেটার ন্যান্সি ফোরলিনি এবং দুই নার্স সহ চার জনের ওপর অভিযোগ উঠেছে। এনাদের বিরুদ্ধে বিচারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে কবে বিচার হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
কয়েক দশক ধরে কোকেন ও অ্যালকোহলে আসক্তির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মারাদোনা। মৃত্যুর কিছুদিন আগে রক্ত জমাট বাঁধার জন্য মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার করা হয়েছিলো তাঁর। অস্ত্রোপচারের আট দিনের মাথায় মারাদোনাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরেই ঘুমের মধ্যে চিরঘুমে চলে যান তিনি।
দিয়েগোর মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে যে মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়েছিলো, তারাও দাবি করেছিলেন, মারাদোনার মেডিক্যাল টিম যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি। তাঁর চিকিৎসা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিলো। আর রোগীকে তাঁর ভাগ্যের উপর ফেলে রাখা হয়েছিলো। যদিও ওই আট জন প্রত্যেকেই তাঁদের দায়িত্ব অস্বীকার করেছেন। জানা গিয়েছে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৮ থেকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে প্রত্যেকের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন