নাগপুরের পর দিল্লি টেস্টেও জয় তুলে নিল টিম ইন্ডিয়া। চার ম্যাচের বর্ডার-গাভাসকার সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল রোহিত শর্মার দল। হাড্ডাহাড্ডি প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে মাত্র ১১৩ রানেই। অশ্বিন-জাদেজার ঘূর্ণিতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অর্ডার। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট খোয়ালেও জয় পেতে অসুবিধা হলো না টিম ইন্ডিয়ার।
জাদেজা-অশ্বিনের ঘূর্ণিতে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই নাস্তানাবুদ অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ১১৩ রানেই শেষ হল অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস। জাদেজা একাই নিলেন ৭ উইকেট। ভারতের দিল্লি টেস্ট জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ১১৫ রান।
দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৬১ রান। হেড ৩৯* এবং ল্যাবুশেন ১৬* রান করে ক্রিজে ছিলেন। তৃতীয় দিনের শুরুতেই ট্রাভিস হেডকে (৪৩) ফিরিয়ে দেন অশ্বিন। এরপর স্মিথও মাত্র ৯ রান করে ফিরে যান অশ্বিনের শিকার হয়ে। মার্নাস লাবুশানে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। তবে দলগত স্কোর ৯৫ রানের মাথায় জাদেজার বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন লাবুশানে (৩৫)।
লাবুশানে ফিরে যাওয়ার পর আর কোনো অজি ব্যাটার মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারেননি। মাত্র দু'রান করে অশ্বিনের উইকেটে পরিণত হন ম্যাট রেনশ। এরপর শুরু হয় জাদেজার দাপট। পিটার হ্যান্ডসকম্বকে রানের খাতা না খুলতে দিয়েই প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান তিনি। পরের বলেই ফের অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকেও (০) ফেরান জাড্ডু।
একের পর এক উইকেট খুইয়ে থরহরি কম্প দশা হয় অজিদের। টেল এন্ডাররা অসহায়ের মতো এলেন আর গেলেন। ৯৫ রানে অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ উইকেট পড়ে ছিল। আর ১১৩ রানেই অল আউট হয়ে যায় তারা। ১০ বলে ৭ করে সাজঘরে ফেরেন অ্যালেক্স ক্যারি। নাথান লিওন করেন ৮ রান।
১১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লোকেশ রাহুল (১) শুরুতেই ফিরে যান। রোহিত শর্মা এবং পূজারার জুটি ভাঙে ৩৯ রানের মাথায়। ২০ বলে ৩১ রানের এক ঝোড়ো ইনিংস খেলে ফিরে যান রোহিত। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে গিয়ে আউট হন কোহলি (২০), শ্রেয়স আইয়ারও (১২)। তবে এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। চেতেশ্বর পূজারা (৩১*) এবং শ্রীকর ভরত (২৩*) ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন