বিরাট-পূজারা-শ্রেয়সদের ব্যর্থতার দিনে ভারতকে বড় রানের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। দ্বিতীয় টেস্টে মায়াঙ্কের প্রথম একাদশে জায়গা নিয়েই প্রশ্ন চিহ্ন পড়েছিলো। ওয়াংখেড়েতে সেই সব জল্পনার উত্তর ব্যাট হাতেই দিলেন মায়াঙ্ক। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম এবং কেরিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বড় রানের দিকে। প্রথম দিনের শেষে ১৪ টি বাউন্ডারি এবং ৪ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে ১২০* রানে অপরাজিত রয়েছেন মায়াঙ্ক। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন ঋদ্ধিমান সাহা। ৫৩ বলে ২৫* রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি।
মুম্বইয়ে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে ভারত। প্রথম উইকেটে দুই ওপেনার ৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তবে ব্যক্তিগত ৪৪ রান শুবমন ফিরে যাওয়ার পরেই রানের খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখেন চেতেশ্বর পূজারা(০) ও বিরাট কোহলি(০)। ৮০ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাক ফুটে চলে যায় টিম ইন্ডিয়া।
কানপুর টেস্টে ভারতের হয়ে শতরান করা শ্রেয়স আয়ার এদিন ১৮ রান করেই ফিরে যান। ১৬০ রানে ভারত হারায় ৪ উইকেট। তবে প্রথম দিনের শেষে ভারতকে আর উইকেট খোয়াতে হয়নি। মায়াঙ্ক আগরওয়াল অনবদ্য শতরান করে দলকে এগিয়ে দেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে এদিন বল হাতে একাই ৪ উইকেট নেন মুম্বই-জাত বোলার আজাজ প্যাটেল।
উল্লেখ্য, মুম্বইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে ফিরেছেন বিরাট কোহলি। আবার ইনজুরির কারণে ছিটকে গিয়েছেন কানপুর টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া আজিঙ্কে রাহানে। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন আবার চোট পেয়ে ম্যাচ থেকে বাইরে রয়েছেন। তাঁর পরিবর্তে কিউইদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন টম লেথাম। ১৮৮৯ সালের পর আবারও ঘটলো এই বিরল ঘটনা। যেখানে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া দুই দলের দুই অধিনায়ক দ্বিতীয় টেস্টে খেলছেন না। ১৩২ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজে এই ঘটনা ঘটেছিলো। সেই সিরিজের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ছিলেন ওয়েন ডানেল এবং ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ছিলেন চার্লস আব্রে স্মিথ। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দেন উইলিয়াম হেনরি মিলটন এবং ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেন মন্টি বাওডেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন