ওপেনিং জুটির অনবদ্য ইনিংস সত্বেও ২৯৬ রানেই প্রথম ইনিংস শেষ নিউজিল্যান্ডের। অক্ষর প্যাটেল এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়লো কিউইদের মিডিল অর্ডার। কানপুরে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন অক্ষর প্যাটেল, অশ্বিনের ঝুলিতে এসেছে ৩ উইকেট। তৃতীয় দিনের শেষে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১৪ রান সংগ্রহ করেছে। নিউজিল্যান্ডকে ৬৩ রানের লীড দিয়েছেন আজিঙ্কে রাহানেরা। মাত্র ১ রানেই ফিরে গিয়েছেন প্রথম ইনিংসে অর্ধশতরান করা শুবমন গিল। অপরাজিত রয়েছেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল(৪*),চেতেশ্বর পূজারা(৯*)।
তৃতীয় দিনে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম উইকেট হারায় ১৫১ রানের মাথায়। ওপেনার উইল ইয়ং ফিরে যান ৮৯ রানের ইনিংস খেলে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগে কেন উইলিয়ামসন আউট হয়ে ফিরে যান ১৮ রান করে। উইলিয়ামসনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি তুলে নেন উমেশ যাদব।মধ্যাহ্ণভোজের বিরতির পর থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করেন ভারতীয় স্পিনাররা। রস টেলর মাত্র ১১ রান এবং হেনরি নিকোলাস ২ রান করে ফিরে যান অক্ষর প্যাটেলের শিকার হয়ে। শতরানের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা টম লেথামকে ৯৫ রানে ফেরত পাঠান অক্ষর।
রাচীন রবীন্দ্র ফিরে যান ১৩ রানে। রাচীনকে ফেরান জাদেজা। চা বিরতির পর টিম ব্লান্ডকে ব্যক্তিগত ১৩ রানে বোল্ড করেন অক্ষর। এরপর টিম সাউদিকে(৫)বোল্ড করে পাঁচ উইকেট তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। উইলিয়াম সামারভিল(৬)ও কাইল জেমিসনকে(২৩)ফেরান অশ্বিন।
শনিবার অক্ষর প্যাটেল ৩৪ ওভারে ৬টি মেডেন ওভার-সহ ৬২ রানের বিনিময়ে নিলেন ৫ উইকেট। কেরিয়ারের চতুর্থ টেস্টে সাত ইনিংসে এই নিয়ে পঞ্চমবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে চেন্নাই টেস্টে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি নেন ৬০ রানে ৫ উইকেট। এরপর আমেদাবাদে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৩৮ রানে ৬টি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রানে ৫ উইকেট দখল করেছিলেন। চতুর্থ টেস্টে প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ৪৮ রানে। এদিন ফের পাঁচ উইকেট দখল করায় তাঁর উইকেটের সংখ্যা হল ৩৩।
অভিষেক বছরে সবথেকে বেশিবার ৫ উইকেট নেওয়ার নিরিখে রডনি হগের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন অক্ষর। ১৯৭৮ সালে নিজের অভিষেক মরশুমে অজি পেসার ৩টি টেস্টে মোট ৫ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। ৪৩ বছর পর অক্ষর নিজের চার নম্বর টেস্টে এমন কৃতিত্ব অর্জন করেন। এই নিয়ে টানা ৬টি ইনিংসে ৪টি বা তারও বেশি উইকেট দখল করেন অক্ষর। সেই নিরিখে তিনি ছুঁয়ে ফেলেন জনি ব্রিগসের নজির। এই তালিকায় তাঁর আগে রয়েছেন কেবল চার্লি টার্নার, ওয়াকার ইউনিস ও মুথাইয়া মুরলিধরন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন