নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে লখনউয়ের পিচ নিয়ে শুরু হয়েছে বড় বিতর্ক। কোনোমতে ম্যাচ জেতা ভারতীয় দল ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে পিচ নিয়ে। এই বিতর্কের কারণে চাকরি গেল লখনউয়ের পিচ কিউরেটর সুরেন্দর কুমারের। উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, একানা স্টেডিয়ামের পিচ কিউরেটরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আসন্ন আইপিএলের কথা মাথায় রেখে তাঁর পরিবর্তে গোয়ালিয়রের অভিজ্ঞ কিউরেটর সঞ্জীব আগরওয়ালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দুই দলের ইনিংস মিলিয়ে ১৯৯ রান সংগ্রহ করতেই হিমশিম খেয়ে যায় ব্যাটাররা। ৩৯.৫ ওভারের মধ্যে ৩০টি স্পিন বোলিং করা হয়। ম্যাচ শেষ হতেই পিচ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। হার্দিক বলেন, "এইরকম পিচে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা যায় না। কঠিন পিচে খেলতে আমার অসুবিধা নেই। কিন্তু যে ধরনের পিচে সকলে খেলতে অভ্যস্ত, কিউরেটরদের উচিত সেরকম পিচ তৈরি করা।"
পাশাপাশি হার্দিক রাঁচিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পিচ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পান্ডিয়া জানান, "আমরা এখনও পর্যন্ত যে দু'টি পিচে খেলেছি, সেটা ছিল ভয়াবহ। কঠিন উইকেটে আমার আপত্তি নেই। আমি তার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু এই দু'টি উইকেট টি-টোয়েন্টির জন্য তৈরি নয়। কিউরেটর বা আমরা যে মাঠে খেলতে যাচ্ছি তাদের নিশ্চিত করা উচিত যে তারা আগে থেকেই পিচ প্রস্তুত করেছে।"
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ম্যাচের জন্য কালো মাটি দিয়ে দু’টি পিচ তৈরি করেছিলেন সুরেন্দর। কিন্তু রাঁচির মাঠে প্রথম ম্যাচ হারের পরে উইকেট নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয় ভারতীয় দলের তরফে। একেবারে শেষ মুহূর্তে লাল মাটির পিচ দাবি করেন হার্দিকরা। অল্প সময়ের মধ্যে এই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে চেষ্টা করেন সুরেন্দর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উলটো ফল হয়, পিচের গতি একেবারে কমে যায়। আর তার কোপ এসে পড়ে কিউরেটরের ওপর।
শুধু ভারতীয় দল নয়। এই পিচের সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরও। আইপিএলে লখনউ দলের মেন্টর গম্ভীর বলেন, "এই উইকেট অত্যন্ত নিম্নমানের। এইরকম পিচে কেউই খেলতে চাইবে না।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন