লীডসে ভারতীয় দলের প্রদর্শন হতাশ করেছে সমর্থক থেকে প্রাক্তনীদের। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৭৮ রানেই গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৮ রানে অল আউট হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। ৭৬ রান ও ইনিংসে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ভারতীয় দলের এই শোচনীয় পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি সুনীল গাভাস্কার।
হেডিংলেতে চতুর্থ দিনে মাত্র ৫৪ মিনিটে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারতীয় দল। তৃতীয় দিনের শেষে ভালো জায়গায় থাকলেও চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই ওলি রবিনসনের দাপটে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বিরাট বাহিনী। এ প্রসঙ্গে সুনীল গাভাস্কার বলেন, "যখন প্রথম তিনজন ব্যাটসম্যান আউট হয়, তখনই বোঝা গিয়েছিলো যে, আমরা খুব বেশিক্ষণ টিকে থাকবো না। তবে যেভাবেই কল্পনা করা হোক না কেন, ৫৪ মিনিটে ৭ উইকেট পড়া মেনে নেওয়া কঠিন।"
তৃতীয় দিনের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ২১৫ রান স্কোর বোর্ডে লাগিয়েছিলো টিম ইন্ডিয়া। ব্যাট হাতে অপরাজিত ছিলেন চেতেশ্বর পূজারা (৯১*) ও বিরাট কোহলি (৪৫*)। সম্ভবনা কম থাকলেও চতুর্থ দিনে ভালো শুরু করার আশায় ব্যাট হাতে নেমেছিলো এই জুটি। তবে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে দাঁড়াতেই পারলেন না পূজারা বা বিরাট। পূজারা ৯১ রানেই ফিরে যান। বিরাট কোহলিকে রবিনসন ফেরান ৫৫ রানে।
ভারতের শেষ ৭ উইকেট পড়েছে মাত্র ৪১ রানে। মিডল অর্ডার দাঁড়াতেই পারেনি হেডিংলের বাইশ গজে। ভারতের সহ অধিনায়ক আজিঙ্কে রাহানে করেন ১০ রান। উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ ১ রান করেই প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখেন। রবীন্দ্র জাদেজা একটু আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করলেও ৩০ রানের বেশি করতে পারেননি। টেল এন্ডে মহম্মদ শামি (৬), ইশান্ত শর্মা (২), মহম্মদ সিরাজরা (০) কার্যত এলেন আর গেলেন।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের বোলাররা মাত্র ৭৮ রানেই শেষ করে দেয় ভারতকে। আবার ব্যাট করতে নেমে ব্রিটিশ অধিনায়ক জো রুটের অনবদ্য শতরানের দৌলতে পাহাড় প্রমাণ ৪৩২ রান সংগ্রহ করে তারা। ইংল্যান্ডের দেওয়া প্রথম ইনিংসের লীডই অতিক্রম করতে পারলেন না বিরাট বাহিনী। ৭৬ রান ও ইনিংসে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফিরে পেয়েছে ইংল্যান্ড।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন