টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করার পর টেস্ট সিরিজও জিতে নিলো টিম ইন্ডিয়া। মুম্বইয়ে কিউইদের বিপক্ষে ৩৭২ রানের বিশাল জয় নিয়ে টেস্ট সিরিজ জয়ের যাত্রা শুরু হলো দ্রাবিড়-বিরাট জুটির। ভারতের মাটিতে রানের নিরিখে এটিই কোহলিদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।
ওয়াংখেড়েতে টেস্ট জিততে ভারতের প্রয়োজন ছিলো আর ৫ উইকেট। চতুর্থ দিনে মাত্র ৭৫ বলেই কিউইদের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। জয়ন্ত যাদব নিয়েছেন ৪ উইকেট এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন নিয়েছেন একটি উইকেট। দুই অফ স্পিনারের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয়ে মাত্র ৪৫ মিনিটেই অল আউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
প্রথম ইনিংসে ভারতের দেওয়া ৩২৫ রানের জবাবে মাত্র ৬২ রানেই খড় কুটোর মতো উড়ে যায় কিউইরা। প্রথম ইনিংসে ২৬৩ রানের বড় লীড নেয় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৬৩ রান সংগ্রহ করে ব্যাট ছেড়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া। লেথামদের সামনে জয়ের জন্য ৫৪০ রানের লক্ষ্য মাত্রা রাখেন কোহলিরা। তৃতীয় দিনের শেষে অশ্বিনের ঘূর্ণিতে নাস্তানাবুদ হয়ে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৪০ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড।
সিরিজ জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিলো আর ৫ উইকেট এবং নিউজিল্যান্ডের ৪০০ রান। চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই স্পিনারদের বল করতে পাঠান কোহলি। রাচীন রবীন্দ্র (১৮), কাইল জেমিসন (০), টিম সাউদি (০), উইলিয়াম সোমেরভিলরা (১) দাঁড়াতেই পারেননি জয়ন্ত যাদবের সামনে। হেনরি নিকোলসকে (৪৪) ফিরিয়ে নিউজিল্যান্ডকে অল আউট করে দেন অশ্বিন। ৩৭২ রানের বড় জয় নিয়ে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেন রাহুল দ্রাবিড়ের ছাত্ররা।
হেনরি নিকোলাসকে ফিরিয়ে এদিন ভারত-নিউজিল্যান্ড সিরিজে রিচার্ড হ্যাডলিকে টপকে সর্বাধিক ৬৬ টি উইকেটের মালিক হয়ে গেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মুম্বই টেস্টের দুই ইনিংসে ৮ উইকেট তুলে নিয়েছেন অশ্বিন। সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে ১৫০ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন