মোতেরায় দু দিন গড়ালো না তৃতীয় টেস্টে। ভারতীয় স্পিনারদের ঘূর্ণিতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়লো ব্রিটিশদের ইনিংস। গোলাপি বলের টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের প্রয়োজনীয় ৪৯ রান করতে খোয়াতে হলোনা একটিও উইকেট। দশ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো বিরাটরা।
দুই ইনিংসেই বল হাতে ম্যাজিক দেখালেন অক্ষর প্যাটেল। যোগ্য সঙ্গ দিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। এই দুই স্পিনারের ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে ব্রিটিশরা ১১২ রানেই অল আউট হয়ে যায়। অক্ষর প্যাটেল তুলে নেয় ৬ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের হালও একই হয়। প্রথম ইনিংসে বিরাট বাহিনী সংগ্রহ করতে পারে মাত্র ১৪৫ রান। রোহিতের ৬৬ এবং কোহলির ২৭ রান বাদ দিলে কোনো ব্যাটসম্যানই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৬ ওভার ২ বলে মাত্র ৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেয় অধিনায়ক জো রুট। ৪ টি উইকেট নেয় জ্যাক লিচ।
ভারতকে প্রথম ইনিংসে সীমার মধ্যেই বেঁধে ফেলে স্বস্তি আসে ইংল্যান্ড শিবিরে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে যে অসহায়ের মতো আত্মসমর্পণ করতে হবে ভারতের সামনে তা বোধহয় ভেবে দেখেনি রুটরা। দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ব্রিটিশদের আবারও নাস্তানাবুদ করতে শুরু করেন অক্ষর এবং অশ্বিন জুটি। অক্ষর প্যাটেলের ৫ উইকেট এবং অশ্বিনের ৪ উইকেটের দৌলতে ইংল্যান্ড মাত্র ৮১ রানেই অল আউট হয়ে যায়।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে ২৫ রান করেন স্টোকস। এটিই রুট দের দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো ব্যাটসম্যানের করা সর্বোচ্চ রান। অধিনায়ক রুট করেন ১৯ রান এবং অলি পোপ ১২ রান। এছাড়া কোনো ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের স্কোর খাড়া করতে পারেনি। ওপেনার জ্যাক ক্রলি, জনি বেয়ারিস্টো, জোফরা আর্চার এবং জেমস আন্ডারসন রানের খাতাই খুলতে পারেনি।
মোতেরায় জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিলো ৪৯ রান। ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুবমন গিল ম্যাচ জিতিয়েই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। রোহিত শর্মা করেন ২৫* রান এবং শুবমন গিল ১৫* রান। দুই ইনিংসে ১১ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন অক্ষর প্যাটেল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন