বিস্ফোরণ যে তিনি করবেন সেটা আগেই জানাই ছিল। তবে ঠিক কী বিষয়ে বলবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। শুক্রবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে তা পরিষ্কার করে দিলেন বরখাস্ত হওয়া ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্টিমাচ।
এদিন স্টিমাচ ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, 'সত্যি কথা বলতে ভারতীয় ফুটবল কারাগারে বন্দি। আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমি দলের সঙ্গে হৃদয় দিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু যাঁরা ভারতীয় ফুটবল চালাচ্ছেন, তাঁরা নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখা ছাড়া অন্য কিছুই বোঝেন না। ফুটবল প্রশাসন কীভাবে চালাতে হয় ফুটবলের মান কীভাবে বাড়ে তাঁদের কোনও ধারণাই নেই। এভাবে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ফুটবল প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।'
তিনি আরও বলেন, 'ভারতীয় ফুটবলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয় না। ভারতীয় দলকে নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। কর্তাদের কাছে ব্যক্তিগত স্বার্থ সবথেকে বড়। কীভাবে ফুটবল চালাতে হয়, সে বিষয়ে আমি তাঁদের শিক্ষা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উল্টে আমাকেই বলা হল, আমি ভারতীয় ফুটবলে বোঝা হয়ে গিয়েছি। ওদের ভাবধারা এমন আমার থেকে ওরা ফুটবল বেশি বোঝে।'
পাশাপাশি স্টিমাচ জানান, 'আমি নিজেই বলেছিলাম দল পরের রাউন্ড পৌঁছতে না পারলে আমি কোচের দায়িত্ব থেকে সরে যাব। এআইএফএফ যখন আমাকে তিন মাসের বেতন নিয়ে সরে যেতে বলেছিল, আমি তখন ওদের ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। আমি নতুন কোনও দলে যোগ দিলে নিজে থেকেই সরে যেতাম। তখন আমাকে হয়তো এক মাসের বেতন দিতে হত। কিন্তু অকারণে তাড়াহুড়ো করে আমাকে বরখাস্ত করা হল। এর কারণ জানি না। আমাকে এভাবে বরখাস্ত করার কোনো মানে নেই। আমাকে এভাবে সরাতে হলে পুরো বেতন দিতে হবে। ওরা কোথা থেকে টাকা জোগাড় করবে আমি জানি না। আমি সেটা নিয়ে ভাবছি না। ওরা যেমন আমি তেমনই ব্যবহার ওদের সঙ্গে করেছি।'
স্টিমাচের আরও বলেন, 'আমি অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে প্রস্তাব দিই একজন টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য দলের সঙ্গে রাখতে। ট্রেনিং-র মান উন্নত করার জন্য পরিকাঠামো চেয়েছিলাম। বিদেশে দলকে অনুশীলন করতে পাঠাতে। কিন্তু সেই গুলো একটাও মানা হয়নি। আমি আগামী কয়েক বছর ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির আশা দেখছি না। যেই কোচ হোক এই কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবে না।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন