Md Habib: 'বড়ে মিঞা' মহম্মদ হাবিবকে হারালো ভারতীয় ফুটবল

কয়েক বছর ধরে পার্কিনসন রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসা চললেও ক্রমশই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষ দিকে স্মৃতিশক্তি প্রায় হারিয়েই ফেলেছিলেন মহম্মদ হাবিব।
মহম্মদ হাবিব
মহম্মদ হাবিবছবি - সংগৃহীত
Published on

স্বাধীনতা দিবসের দিন ভারতীয় ফুটবল তথা কলকাতা ময়দানে এক যুগের শেষ হলো। প্রয়াত হলেন মহম্মদ হাবিব। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। ফুটবল দুনিয়া তাঁকে বড়ে মিঞা বলেই জানতো।

অনেকদিন আগেই কলকাতা ছেড়েছিলেন। ফিরে গিয়েছিলেন নিজের রাজ‍্য হায়দরাবাদে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে পার্কিনসন রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসা চললেও ক্রমশই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষ দিকে স্মৃতিশক্তি প্রায় হারিয়েই ফেলেছিলেন মহম্মদ হাবিব।

মহম্মদ হাবিব ছয়ের দশকের মাঝামাঝি কলকাতায় এসেছিলেন। ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন এই কলকাতায় খেলে। ১৮ বছর বাংলায় থেকে তিন প্রধানে খেলেছেন। দেশের হয়ে খেলেছেন টানা ১১ বছর। ১৯৮০ সালে পেয়েছেন ‘অর্জুন’ পুরস্কার। ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর হায়দরাবাদে ফিরে গেলেও পরে বাংলায় এসেছেন কোচিং করাতে।

হাবিবের কোচিংয়ে দীর্ঘদিন খেলেছেন সুব্রত ভট্টাচাৰ্য। তিনি জানান (সুব্রত ভট্টাচার্য) ,আমি যখন মোহনবাগান মেসে থাকতাম, "তখন হাবিবদা আমাদের সঙ্গে থাকতেন। রাত ন'টার মধ‍্যে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমোতে যেতে হতো। সাত সকালে উঠে প্র‍্যাকটিস। দুপুরে ফালতু আড্ডা মারা যাবে না। আমরা তখন যুবক। একবার রয়েড স্ট্রিটের মোহনবাগান মেসের জানালা দিয়ে পাশের বাড়িতে উঁকি মারছিলাম। সেই দেখে চ‍্যালা কাঠ নিয়ে তেড়ে আমাদের মারতে এসেছিলেন হাবিবদা। মাঠে বিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইটা শিখিয়েছিলেন। মাঠের বাইরে শৃঙ্খলা শিখিয়েছিলেন। আমার ফুটবলার জীবনে হাবিবদার অনেক বড় অবদান আছে। হাবিবদার মতো শৃঙ্খলাপরায়ণ মানুষ যদি মোহনবাগান মেসে না পেতাম, তাহলে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যেতো। হাবিবদাকে কখনও ভুলতে পারব না।"

মহম্মদ হাবিব
East Bengal: প্রয়াত লাল-হলুদের প্রাক্তন ফুটবল সচিব সুপ্রকাশ গড়গড়ি

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in