১৯৭৭ সালের পরে ফিফা রাঙ্কিংয়ে উপরে থাকা দলকে হারালো ভারত। তবুও খুশি নন ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্টিমাচ। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতেও ভারতীয় কোচের চিন্তা এশিয়ান কাপ।
রবিবার স্টিমাচ জানান, জিতে অবশ্যই ভালো লাগছে। তবে প্রথমার্ধটা ছিল হতাশাজনক। আমি রীতিমতো বিরক্ত হয়েছিলাম। ড্রেসিংরুমে আমি প্লেয়ারদের কী বলেছিলাম, সেটা আমাকে না জিজ্ঞেস করাই ভালো। আমরা অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তানের বিপক্ষে এভাবে খেললে কোনও লাভ হবে না এটুকু বলতে পারি।
গতকাল ফাইনালের প্রথমার্ধে যেখানে একটিও শট গোলে রাখতে পারেনি ভারত, সেখানে দ্বিতীয়ার্ধে চার-চারটি শট গোলের লক্ষ্যে ছিল ভারতের এবং তার মধ্যে দু’টিতে গোল হয়। ৪৬ মিনিটে প্রথম গোল করেন সুনীল ও ৬৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন ছাঙতে।
নিজেদের দক্ষতায় লেবাননের মতো প্রতিপক্ষ, যারা শারীরিক ভাবে এগিয়ে, তাদেরও পিছনে ফেলে দেয় ভারত। প্রথম গোলে অ্যাসিস্ট করে ও দ্বিতীয় গোলটি করে ম্যাচের হিরো-র খেতাব জিতে নেন লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতে, যিনি গতকাল মাঠে প্রতিপক্ষের কাছে রীতিমতো ত্রাস হয়ে ওঠেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হল ভারত।
প্রথম বার, ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। পরের বছর এই ট্রফি নিয়ে যায় উত্তর কোরিয়া। আগামী বছর জানুয়ারিতে এএফসি এশিয়ান কাপে খেলবে ভারত। তারই প্রস্ততির প্রথম ধাপ এই টুর্নামেন্ট এবং প্রথম ধাপেই সাফল্য পেলেন সুনীল ছেত্রীরা।
এবার লক্ষ্য আগামী সপ্তাহে শুরু হওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ, যাতে অংশ নিতে সোমবারই বেঙ্গালুরু উড়ে যাচ্ছে ভারতীয় দল। গত দুই ম্যাচের মতো ঢালাও পরিবর্তন করে দল নামাননি ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচ। গত ম্যাচের দলে একটি পরিবর্তন করেন তিনি। উদান্ত সিংয়ের জায়গায় ফিরে আসেন সুনীল ছেত্রী। ৪-৩-৩ ছকে সুনীলের সঙ্গে শুরু করেন লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতে ও আশিক কুরুনিয়ান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন