এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি তুঙ্গে ভারতের। দোহায় প্রস্তুতি সেশনে ভারতীয় দলের হেড কোচ ইগর স্টিম্যাচের সহকারী হিসেবে যোগ দেন প্রাক্তন ইংলিশ তারকা ফুটবলার ট্রেভর সিনক্লেয়ার্স। সুনীল ছেত্রী সহ গোটা ভারতীয় দলকে আসন্ন বড় টুর্নামেন্টের আগে তার মূল্যবান পরামর্শও দেন।
এদিন ট্রেভর অনুশীলনের শেষে বললেন,'দলের সকল ফুটবলারই প্রতিভাশালী। ওরা খুব ভালো এবং কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে। ইগর ওদের খুব ভালো কোচিং দিচ্ছে এবং আমি ওদের সব রকমভাবে সাহায্য করবো যাতে আসন্ন টুর্নামেন্টে ওরা ভালো ফল করতে পারে।'
ভারতের প্রথম খেলা ১৩ জানুয়ারি শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। এশিয়ান কাপে মোট ছ’টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে ২৪টি দলকে। ভারত রয়েছে গ্রুপ বি-তে। তাজিকিস্তান, লেবানন, চীন ও আয়োজক কাতার গ্রুপ এ-তে রয়েছে। গ্রুপ সি-তে রয়েছে হংকং চীন, প্যালেস্তাইন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও ইরান। ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, জাপান ও ভিয়েতনাম রয়েছে গ্রুপ ডি-তে। মালয়েশিয়া, বাহরিন, জর্ডন ও দক্ষিণ কোরিয়া পরষ্পরের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে গ্রুপ ই থেকে নক আউট পর্বে যাওয়ার জন্য এবং গ্রুপ এফ-এ রয়েছে তাইল্যান্ড, কিরগিজ রিপাবলিক, ওমান ও সৌদি আরব।
প্রতি গ্রুপ থেকে সেরা দু’টি দল প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। ভারত তাদের গ্রুপে সেরা দুইয়ে থাকতে পারবে কি না, সেটাই দেখার। অবশ্য ছ’টি গ্রুপের তিন নম্বর দলগুলির মধ্যে সেরা চারটির মধ্যে থাকলেও ১৬ দলের নক আউট রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা পাওয়া যাবে। সে জন্য ভারতকে গ্রুপ পর্বে তিনটির মধ্যে অন্তত দু’টি ম্যাচে জিততে হবে। চার বছর আগে এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ভারত তাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪-১ জয় দিয়ে শুরু করলেও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (০-২) ও বাহরিনের (০-১) কাছে হেরে যাওয়ায় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়।
এই নিয়ে পঞ্চমবার এশিয়ান কাপের মূলপর্বে অংশ নিতে চলেছে ভারত। ১৯৬৪, ১৯৮৪, ২০১১ ও ২০১৯-এ অংশ নেয় ভারত। ১৯৬৪-তে রানার্সেরও খেতাবও অর্জন করে তারা। এ বার মহদেশের সবচেয়ে বড় ফুটবলের আসরে দক্ষিণ এশিয়া থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছে ভারতই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন