কেরালাকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে আত্মবিশ্বাসী জয় এটিকে মোহনবাগানের। কোচির মাঠে ৭ গোলের ম্যাচে ব্লাস্টার্সকে ৫-২ গোলে হারিয়ে মরশুমের প্রথম জয় পেলো সবুজ মেরুনরা। বাগানের হয়ে অনবদ্য হ্যাটট্রিক করলেন অজি মিডফিল্ডার দিমিত্রি পেট্রতোস।
কেরালাকে সমর্থন করার জন্য তাদের ঘরের মাঠে উপচে পড়েছিল দর্শকদের ঢেউ। তবে হলুদ জার্সিতে ভরা স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দুরন্ত জয় তুলে নিয়েছে সবুজ মেরুনরা। শুরুতে অবশ্য এদিন পিছিয়েই পড়ে ছিল কলকাতার ক্লাবটি। ৬ মিনিটের মাথায় ইভান কালিউজনির গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এই লীড অবশ্য কুড়ি মিনিটের বেশি ধরে রাখতে পারেনি ব্লাস্টার্স। ২৬ মিনিটে দিমিত্রি পেট্রতোসের গোলে সমতা ফিরে পায় মোহনবাগান।
সমতা ফিরে পাওয়ার পর অন্য উচ্চতায় চলে যায় এটিকে মোহনবাগান। হলুদ জার্সিধারীরা কার্যত বুঝতেই পারছিল না কীভাবে আটকানো যাবে সবুজ মেরুনদের। ৩৮ মিনিটের মাথায় বিশ্বমানের এক গোলে কোচির গ্যালারিকে কার্যত স্তব্ধ করে দিলেন জনি কাউকো। প্রথমার্ধের শেষে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে নামে ফেরান্ডো বাহিনী।
দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফিরে পাওয়ার জন্য একপ্রকার মরিয়া চেষ্টা চালাতে থাকে কেরালা। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করেন ইভান ভুকোমানোভিচরা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই খেলার রাশ ধরে মেরিনার্সরা। ৬২ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর পাস থেকে দিমিত্রি পেট্রতোস নিজের দ্বিতীয় এবং বাগানের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন।
৮১ মিনিটের মাথায় নিশু কুমারের ক্রস থেকে যখন কেরালার হয়ে ব্যবধান কমান রাহুল কানোলি, গোটা স্টেডিয়াম যেনো অক্সিজেন পায়। তবে অল্প সময় বাদেই লেনি রদ্রিগেজ বাগানের হয়ে চতুর্থ গোলটি করে কেরালাকে ফের স্তব্ধ করে দেন। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পেট্রতোস।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন