ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় রীতিমত স্তম্ভিত ফুটবল বিশ্ব। শনিবার রাতে জাভা প্রদেশের মালাং শহরের কাঞ্জুরুহান স্টেডিয়ামে ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ লীগ বিআরআই লিগা ওয়ানের একটি ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন দাঙ্গা বেঁধে যায় দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে। এই সংঘর্ষে প্রায় ১৭৪ জন নিহত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
শনিবার জাভার দুই ক্লাব আরেমা এবং পার্সিবায়া সুরাবায়ার মধ্যে খেলা ছিল। এই ম্যাচে চিরপ্রতিদন্দ্বী পার্সিবায়া তাদের ঘরের মাঠে আরেমাকে হারিয়ে দেয় ২-৩ ব্যবধানে। এরপরেই দাঙ্গা শুরু হয়। সমস্যা বাড়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করলে। ভিড়ে ঠাসা গ্যালারিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্টেডিয়াম থেকে বেরোনোর জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায়। পদপিষ্ট এবং শ্বাসরোধ হয়ে মারা গিয়েছেন শতাধিক মানুষ। নিহতদের মধ্যে রয়েছে শিশু ও পুলিশ কর্মীও।
পূর্ব জাভা প্রদেশের ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ প্রধান নিকো আফিন্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, "ঘটনায় ১২৭ জন মারা গিয়েছেন, যাঁদের মধ্যে দু'জন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে। ৩৪ জন স্টেডিয়ামের ভিতরেই মারা গিয়েছেন এবং বাকিরা হাসপাতালে মারা গিয়েছেন।"
মালাং রিজেন্সি হেলথ অফিসের প্রধান উইয়ান্তো উইজো জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, বহু মানুষ গুরুতর আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএসএসআই) শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি জারি করে বলে, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই ঘটনা ১৯৮০ সালের ১৬ আগস্ট কলকাতার ইডেনে হওয়া ঘটনার স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। ৪২ বছর আগে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের ফুটবল ম্যাচে দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে সঙ্ঘর্ষে সে দিন ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।
এক সপ্তাহের জন্য ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল লিগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই রোমহর্ষক ঘটনা সামনে আসার পর রীতিমত স্তম্ভিত ফুটবল বিশ্ব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন