শারজায় ব্যাটে-বলে ম্যাজিক দেখালেন সুনীল নারিন। আরসিবি ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করে নিজের ৪ ওভারে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। রান দিয়েছেন মাত্র ২১। দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নেমে ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানকে পরপর তিনটি ছয় হাঁকিয়ে ১৫ বলে ২৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন নারিন। সবমিলিয়ে শারজায় এলিমিনেটর ম্যাচের সব রং কেড়ে নিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ক্যারিবিয়ান।
নারিন ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত আরসিবি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে নাইরা। পরাজিত হওয়ার সাথে সাথেই আইপিএল ২০২১-এর সফর শেষ হয়েছে বিরাট-এবি-ম্যাক্সওয়েলদের। অন্যদিকে কেকেআর পৌঁছে গেলো দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে। ফাইনালে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হওয়ার জন্য দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মর্গ্যানদের পরাস্ত করতে হবে ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালসকে।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দেবদূত পাড়িক্কেল এবং বিরাট কোহলি অবশ্য শুরুটা ভালোই করেছিলেন। প্রথম উইকেটে এই জুটি যোগ করেন ৪৯ রান। তবে ষষ্ঠ ওভারে লকি ফার্গুসন দেবদূতকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখানোর পর থেকেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েন বিরাটরা। সুনীল নারিন কার্যত একা হাতেই গুঁড়িয়ে দেন আরসিবিকে। শ্রীকার ভরত(৯), বিরাট কোহলি(৩৯), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল(১৫), এবি ডিভিলিয়ার্সকে(১১) প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান নারিন। দুই ওপেনার দেবদূত পাড়িক্কেল এবং বিরাট কোহলি ছাড়া কোনো আরসিবি ব্যাটার দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ রান সংগ্রহ করতে পারেননি।
আরসিবির দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দুই নাইট ওপেনার শুবমন গিল ও ভেঙ্কটেশ আয়ার প্রথম থেকেই বড় শট নিতে থাকেন। শুবমন ১৮ বলে ২৯ রান করে ফিরে যাওয়ার পর নাইটরা একটু ধরে খেলতে শুরু করেন। রাহুল ত্রিপাঠিও এদিন মাত্র ৬ রানে ফিরে যান। ভেঙ্কটেশ আয়ার করেন ২৬ রান। মিডিল অর্ডারে নীতিশ রানা (২৩) ও সুনীল নারিন(২৬) গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে যান। দীনেশ কার্তিক ১০ রান করে ফিরে যাওয়ার পর একটু চাপের মুখে পড়লেও সাকিব আল হাসান নাইটদের জয় এনে দিতে কোনো ভুল করেননি। বাংলাদেশী তারকা ৬ বলে ৯* রানে অপরাজিত থাকেন। অধিনায়ক মর্গ্যান অপরাজিত থাকেন ৫* রানে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন