অভিষেক মরশুমেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়াম লীগের খেতাব জিতে নিলো হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট টাইটানস। আমেদাবাদে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের বিজয়ী দল রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ২০২২ সালের খেতাব জিতলো গুজরাট। বল হাতে হার্দিক পান্ডিয়া, সাই কিশোরদের দাপুটে প্রদর্শনে ১৩০ রানই সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন সঞ্জু স্যামসনরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুবমন গিলের অপরাজিত ৪৫* রান এবং ডেভিড মিলারের ৩২* রানের ঝড়ো ইনিংসের দৌলতে ১১ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় গুজরাট।
ফাইনাল ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। শুরুটা ভালোই করেছিলেন বাটলার এবং জসওয়াল। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে রাজস্থান শিবিরে প্রথম ধাক্কাটি দেন জস দয়াল। ১৬ বলে ২২ রান করে ফিরে যেতে হয় যশস্বী জসওয়ালকে। এরপর বল হাতে আগুন মেজাজে দেখা দেন গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। রাজস্থানের তিন প্রধান অস্ত্র সঞ্জু স্যামসন, জস বাটলার এবং সঞ্জু স্যামসনকে সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে রাজস্থানের রানের ঘোড়ার মুখে লাগাম পরান হার্দিক।
দলগত স্কোর ৬০ রানের মাথায় ১৪ রান করে হার্দিকের শিকার হয়ে ফিরে যান সঞ্জু স্যামসন। আইপিএলের ইতিহাসে এক দলের অধিনায়ককে ফাইনালের মঞ্চে বিপক্ষ দলের অধিনায়কের আউট করার ঘটনা বিরল। ২০০৯ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক অনিল কুম্বলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের অধিনায়ক অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে আউট করেছিলেন। দীর্ঘ ১৩ বছর পর কুম্বলের সেই রেকর্ড স্পর্শ করলেন হার্দিক।
স্যামসন ফিরে যাওয়ার পর রশিদ খানের শিকার হয়ে ফিরে যান দেবদূত পাড়িক্কেল(২) এবং তার পরেই হার্দিক ফেরান রাজস্থানের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র জস বাটলারকে। চলতি আইপিএলে চারটি শতরান হাঁকানো ইংলিশ উইকেট কিপার এই ম্যাচে থামলেন ৩৯ রান করে। সবমিলিয়ে এই টুর্নামেন্টে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৮৬৩ রান। যা কিনা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক মরশুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (বিরাট কোহলির পর)।
বাটলার যাওয়ার পর হিটমায়ার(১১), অশ্বিন(৬), রিয়ান পরাগ(১৫), বোল্টরাও (১১) একে একে ফিরে যান। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানই সংগ্রহ করে রাজস্থান রয়্যালস।
দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ঋদ্ধিমান সাহা(৭) এবং ম্যাথু ওয়েড(৮) ফিরে গেলেও হার্দিক পান্ডিয়া এবং শুবমন গিল দলকে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে বাইরে বের করে আনেন। তৃতীয় উইকেটে গিল-পান্ডিয়া জুটি খেলেন ৬৩ রানের ইনিংস। হার্দিক ৩৪ রান করে ফিরে যাওয়ার পর আর কোনো উইকেট খোয়াতে হয়নি গুজরাটকে। প্রোটিয়া তারকা ডেভিড মিলার এসে ১৯ বলে ৩২* রানের এক মারকাটারি ইনিংস খেলে দলকে দ্রুত জয় উপহার দেন। শুবমন অপরাজিত থাকেন ৪৫* রানে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন