কলকাতা নাইট রাইডার্সে ফিরলেন ২০১২ এবং ২০১৪ আইপিএল জয়ী অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। এবার তাঁকে দেখা যাবে মেন্টরের ভূমিকায়। গম্ভীরকে ফিরিয়ে আনায় বেশ আনন্দিত কেকেআর কর্তা শাহরুখ খান।
২০১৪ সালের পর থেকে আর ট্রফি আসেনি কে কে আর-র ঝুলিতে। শেষ ২ বার গম্ভীরের অধিনায়কত্বেই ট্রফি জিতেছিল কলকাতা। গম্ভীর ছেড়ে যাওয়ার পর একাধিক অধিনায়কের অধীনের কে কে আর খেললেও পূর্বের মতো পারফর্ম্যান্স করতে ব্যর্থ হয় দল। এবার সেই গম্ভীরের ওপরই ফের ভরসা রাখতে হচ্ছে কেকেআরকে।
বুধবার গম্ভীরকে ফিরিয়ে আনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই কেকেআর-র সিইও ভেঙ্কি মাইসোর লেখেন, 'দারুণ স্মৃতি ছিল, আরও নতুন স্মৃতি তৈরি করতে হবে'। মেন্টর গম্ভীরকে নিয়ে সমর্থকরাও বেশ আনন্দিত।
গম্ভীরকে ফিরিয়ে এনে শাহরুখ খান লেখেন, 'গৌতম সব সময়ই আমাদের পরিবারের একটা অংশ। আমাদের অধিনায়ক আবার ফিরে এসেছেন। এবার ভিন্ন ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। তিনি আমাদের মেন্টর। সকলেই তাঁর অভাববোধ করেছে। আমরা সবাই এখন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত এবং গৌতম গম্ভীরের যুগলবন্দি দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। তাঁরা কখনই হারতে শেখেননি'।
নিজের পুরনো দলে নতুন ভূমিকায় ফিরে গম্ভীরও বেশ আনন্দিত। তিনি লেখেন, 'আমি খুব একটা আবেগী নই। কিন্তু এই খবরের মধ্যে একটু পার্থক্য রয়েছে। আমি যেখান থেকে শুরু করেছিলাম সেখানেই আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেল। আমি ফের বেগুনি এবং সোনালি জার্সি পরে ঘুমাতে পারবো, এটা ভেবেই আমার গলা বুজে আসছে এবং বুকের মধ্যে আগুন জ্বলছে। আমি শুধু কেকেআর-এ ফিরে আসিনি বরং 'সিটি অফ জয়' কলকাতায় ফিরে এলাম। আমি ফিরে এসেছি। আমি ক্ষুধার্ত। আমি নম্বর ২৩ (জার্সির নম্বর)। আমি কেকেআর'।
২০০৮ সালে আইপিএল-এ দিল্লির হয়ে অভিষেক হয় গম্ভীরের। দু'বছর সেখানেই খেলেন। তারপর ২০১১-২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা কেকেআর-এ খেলেন। এর মধ্যে ২০১২ সালে ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় কলকাতা। ২০১৪ সালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য ট্রফি ঘরে তোলে কেকেআর। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ৩৩৭৫ রানও করেছেন গম্ভীর। ২০১৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে যান। ২০২১ সালে লখনউ সুপার জায়ান্টের মেন্টর হিসেবে নিযুক্ত হন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন