আইপিএল-র সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দলগত ভাবে সর্বোচ্চ রানের মালিক হলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২০ ওভারের খেলায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৭৭ রান করেছে হায়দরাবাদ। ২০১৩ সালে করা আরসিবির রেকর্ডকেও এদিন টপকে গেল প্যাট কামিন্সের দল।
প্রথম ম্যাচে কেকেআরের কাছে হারের পর দুরন্ত ছন্দে দেখা গেল হায়দরাবাদের ক্রিকেটারদের। বুধবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল হায়দরাবাদের। সেই ম্যাচে প্রথম থেকেই ঝোড়ো ইনিংস খেলতে থাকেন প্যাট কামিন্সের ছেলেরা। আরসিবির সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডের পাশাপাশি প্রথম ১০ ওভারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের করা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও ব্রেক করলো হায়দরাবাদ।
এতদিন আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক রান করা প্রথম ৫টি দলের মধ্যে ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (২৬৩/৫, ২০১৩ সাল)। লখনউ সুপার জায়ান্ট (২৫৭/৭, ২০২৩ সাল)। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (২৪৮/৩, ২০১৬ সাল)। চেন্নাই সুপার কিংস (২৪৬/৫, ২০১০ সাল) এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স (২৪৫/৬, ২০১৮ সাল)। বুধবার হায়দরাবাদের ব্যাটাররা সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিলেন।
আবার প্রথম ১০ ওভারে দল হিসেবে সর্বাধিক রান ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং পাঞ্জাব কিংসের (১৩১ রান)। সেই রেকর্ডও এদিন ভাঙলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথম ১০ ওভারে তাদের স্কোর ছিল ১৪৮ রান। যা আইপিএল-র ইতিহাসে সর্বাধিক। তবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও নিজেদের রেকর্ড ভেঙেছে এই ম্যাচে। প্রথম ১০ ওভারে তারা ১৪১ রান করে।
এছাড়া টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করেছে হায়দরাবাদ। পাশাপাশি হায়দরাবাদের হয়ে দ্রুততম ৫০ রান করার নজিএর গড়লেন তরুণ ব্যাটার অভিষেক শর্মা (১৬ বলে)। দ্বিতীয় দ্রুততম ৫০ করলেন ট্রাভিস হেড (১৮ বলে)।
শুধু রানের পাহাড় নয়, এক ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে মোট ছয় মারার নিরিখেও শীর্ষে উঠলো এই ম্যাচ। ২০১৮ সালে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে বালখ লেজেন্ডস বনাম কাবুল জওয়ানান এবং ২০১৯ সালে SNKP বনাম JT Basseterre ম্যাচে ৩৭টি করে ছয় হয়েছিল। কিন্তু গতকাল এক ম্যাচে মোট ৩৮টি ছয় হয়। যা পুরুষদের টি-২০তে সর্বাধিক।
২৭৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল মুম্বই। কিন্তু ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রানে থামে মুম্বইয়ের ইনিংস।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন