দুবাইয়ে শেষ হাসি হাসলো মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ২৭ রানে বড় জয় অর্জন করে চতুর্থবার আইপিএলের খেতাব ঘরে তুললেন ধোনি এন্ড কোং। ব্যাট হাতে ফাফ ডু প্লেসি-মঈন আলির অনবদ্য প্রদর্শনের পর বল হাতে সিএসকের হয়ে দুরন্ত প্রদর্শন করলেন শার্দুল ঠাকুর, রবীন্দ্র জাদেজা, জস হেজেলউডেরা। শুবমন গিল - ভেঙ্কটেশ আয়ার জুটি কেকেআরকে জয়ের দিশা দেখালেও মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা দলকে হতাশ করে। চেন্নাইয়ের দেওয়া ১৯৩ রানের লক্ষ্য মাত্রা তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানই সংগ্রহ করতে পেরেছেন মর্গ্যান বাহিনী।
দ্বিতীয় দফায় রান তাড়া করতে নেমে দুই নাইট ওপেনার তাঁদের কাজটা ভালো মতোই সেরে যান। কিন্তু ওপেনার জুটি ভেঙে যাওয়ায় পরেই মিডল অর্ডারের চরম ব্যাটিং ব্যর্থতা নাইটদের মাথা তুলে দাঁড়াতেই দেয়নি। প্রথম উইকেটে শুবমন গিল এবং ভেঙ্কটেশ আয়ার জুটি ৯১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ভেঙ্কটেশ আয়ারের ব্যাটে আসে ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস। শুবমন গিলও ৪৩ বলে ৫১ রান করেন।
তবে এরপর আর কোনো ব্যাটার মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারেননি। রানের খাতাই খুলতে পারেননি নীতিশ রানা এবং সাকিব আল হাসান। সুনীল নারিন (২), ইয়ন মর্গ্যান (৪), দীনেশ কার্তিক (৯), রাহুল ত্রিপাঠিরা (২) সকলেই ব্যর্থ হন। শেষ বেলায় শিবম মাভী এবং লকি ফার্গুসন শেষ চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি কিছুই। মাভী ১৩ বলে ২০ রান করেন এবং ফার্গুসন অপরাজিত থাকেন ১৮* রানে।
দুবাইয়ে আইপিএলের মেগা ফাইনালে শুক্রবার টসে জিতে চেন্নাই সুপার কিংসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান নাইট অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন সিএসকে ওপেনার ফাফ ডু প্লেসি। প্রথম উইকেটে ওপেনার জুটি যোগ করেন ৬১ রান। ঋতুরাজ গায়কোয়াড ২৭ বলে ৩২ রান করে ফিরে যান। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তিনটি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে ১৫ বলে ৩১ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে ফিরে যান রবিন উথাপ্পা। ডু প্লেসি এবং উথাপ্পা জুটি দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৩২ বলে ৬৩ রানের বড় পার্টনারশিপ গড়েন।
উথাপ্পা ফিরে যাওয়ার পর মঈন আলিকে সঙ্গে নিয়ে সিএসকেকে বড় রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান ফাফ ডু প্লেসি। ৫৯ বলে ৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেন এই প্রোটিয়া তারকা। তাঁর ইনিংস সাজানো রয়েছে ৭ টি বাউন্ডারি এবং ৩ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে। অন্যদিকে ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলি মাত্র ২০ বলে ২ টি বাউন্ডারি এবং ৩ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। সবমিলিয়ে নাইট বোলারদের নাস্তানাবুদ করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৯২ রান স্কোর বোর্ডে অঙ্কিত করেন ধোনি বাহিনী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন