অস্ট্রেলিয়ান ওপেন না খেলেই ফিরতে হয়েছে জকোভিচকে। পাশাপাশি ৩ বছরের জন্য তাঁকে ব্যান করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এবার সার্বিয়ান নম্বর ওয়ানের সামনে ফের সংকট। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর ফরাসী ওপেনের দরজাও বন্ধ হতে পারে জকোভিচের জন্য। সোমবার ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনার টীকা না নিলে ফরাসি ওপেনে অংশ নিতে পারবেন না সার্বিয়ান সুপারস্টার।
করোনার সংক্রমণ রুখতে টীকাকরণের ওপর অধিক জোর দিচ্ছে ফ্রান্স। টীকা সংক্রান্ত একটি আইন পাশ করেছে দেশটি। যেখানে সমস্ত জনবহুল জায়গায় সমস্ত ধরনের মানুষের জন্য টীকাকরণের সার্টিফিকেট দেখানো বাধ্যতামূলক। এদিকে করোনার ভ্যাকসিন নিতে রাজি নন ২০ টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী জকোভিচ। আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলা ফরাসী ওপেনে করোনা টীকাকরণের সার্টিফিকেট না দেখাতে পারলে ফরাসী ওপেনের দরজাও বন্ধ হয়ে যাবে জোকারের।
জকোভিচ টীকা না নিয়েই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নেওয়ার জন্য পাড়ি জমিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া। যদিও বিশেষ মেডিক্যাল প্যানেলের ছাড়পত্র পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মেলবোর্ন বিমান বন্দরে পা রাখার পর ভিসা বাতিল করে বিমানবন্দরেই আটকে রাখা হয় জকোভিচকে। ঘটনা আদালতে পৌঁছানোর পর প্রথমবার চ্যালেঞ্জ জেতেন জকোভিচ। কিন্তু এর পরে দ্বিতীয়বার বাতিল করা হয় তাঁর ভিসা। শেষবার অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী স্বয়ং ব্যক্তিগত ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাঁর ভিসা বাতিল করেন। অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল কোর্টে আইনি লড়াইয়ে শেষবার আর জিততে পারেননি। তিন বছরের নির্বাসন মাথায় নিয়ে খালি হাতেই দুবাই ফিরেছেন বিশ্বসেরা টেনিস খেলোয়াড়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন