জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। সোমবার যুবভারতীতে চেন্নাইন এফসিকে ১-০ গোলে হারাল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। জয়সূচক গোল নন্দকুমারের। জয়ের ফলে ১৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। ফলে সুপার সিক্সের স্বপ্ন টিকে রইল লাল হলুদ দলের।
এদিন ম্যাচের পরে কুয়াদ্রাত বললেন,'আমরা প্রথমার্ধে খুবই খারাপ খেলেছি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভাল খেলেছি। প্রথমার্ধে চেন্নাইনের গোল পাওয়া উচিত ছিল। ওরা যথেষ্ট ভাল দল। ওদের কোচ ওয়েন কোইলকে আমি শ্রদ্ধা করি। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের পরিবর্ত খেলোয়াড় আনতে হয় নতুন করে শক্তি বাড়ানোর জন্য। এটাই আমাদের কাজ। দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। কারণ, ম্যাচের শেষে ফলই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দলের লড়াকু মানসিকতাও আজ দলকে জিততে সাহায্য করেছে।“
তিনি বলেন, “দলের সব খেলোয়াড়কে নিয়েই আমি খুশি। মরশুমের মাঝখানে দলে একাধিক পরিবর্তন হয়েছে। নতুন ছেলেদের আমাদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে, আমাদের বুঝতে একটু সময় তো দিতেই হবে। তবু ওরা সব কিছু উজাড় করে দিচ্ছে। আমি যা চাইছি, তা-ই দিচ্ছে। ওদের কাছে এটা একটা বড় সুযোগ। ভবিষ্যতের জন্য এই সুযোগ ওরা কাজে লাগাতে পারে কি না দেখা যাক।“
লাল হলুদ হেডস্যার আরও বললেন, "আমরা একটা দু’বছরের প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। বোরহা ও সিভেরিও যখন আমাদের দলে ছিল, তখন ফাইনাল থার্ডে ওরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। ওদের জায়গায় যারা এসেছে, তাদের কাছে নিজেদের উপযোগিতা প্রমাণ করার এটা বড় সুযোগ। গোলের সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে ভিক্টর ভাজকেদের পরিসংখ্যান খুবই ভাল। সেটপিসেও ও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজও করেছে। গোলের সময় নন্দর কাছে যে বলটা আসে, সেটা ওটা ওঁর কাছ থেকেই আসে। ফেলিসিও-ও চেষ্টা করছে ছন্দে ফিরে দলকে সাহায্য করতে। আলেকজান্দারও পুরোটা বুঝতে একটু সময় নিচ্ছে।“
“দলের ছেলেরা সবাই যে রকম পরিশ্রম করছে, যে ভাবে চেষ্টা করছে, তাতে আমি খুশি। নন্দর ফিনিশিং, অ্যাসিস্ট ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। এই মরশুমে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে পরের মরশুমেরও প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। এই দলটাকে ভবিষ্যতের জন্যই তৈরি করছি। পরের ওড়িশা ম্যাচ আমাদের পক্ষে খুবই কঠিন হবে। ওরা লিগ টেবলে এক নম্বরে রয়েছে। তিন দিন পরেই এই ম্যাচটা খেলতে হবে আমাদের। খুবই কঠিন হতে চলেছে ম্যাচটা”, বলেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন