বুধবার দিল্লিতে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে নামছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তার আগে চাপ বাড়লো ইস্টবেঙ্গলের। কারণ নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে চেন্নাই।ম্যাচের আগে বাঙালি ফুটবলার অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়ের শেষ মুহূর্তের গোলে নর্থ ইস্টকে ২-১ গোলে পরাস্ত করতে সক্ষম হয় দক্ষিণের দলটি।
এই জয়ের ফলে ইস্টবেঙ্গলকে টপকে ছ’নম্বরে উঠে এসেছে চেন্নাই। ২১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৭। বুধবার ইস্টবেঙ্গল জিতলে ২২ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট হবে লাল-হলুদের। চেন্নাইয়নের শেষ ম্যাচ গোয়ার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ ড্র করতে পারলেই তারা ইস্টবেঙ্গলকে টপকে ষষ্ঠ দল হিসাবে প্লে-অফে উঠবে। তবে হেরে গেলে আর ইস্টবেঙ্গল পঞ্জাবকে হারালে ইস্টবেঙ্গলই উঠবে।
সেই কারণে বুধবার ইস্টবেঙ্গলকে শুধু জিতলেই হবে না তাকিয়ে থাকতে হবে চেন্নাই বনাম এফসি গোয়ার রবিবারের ম্যাচের দিকে। এদিকে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে নামার আগে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত জানান, 'ফাঁকা মাঠে খেলতে হবে, আর ফাঁকা মাঠে খেলা কঠিন। মেন্টাল কানেকশন পাওয়া যায় না। আমরা এখানে সমর্থকদের সামনে খেলে অভ্যস্থ। বাইরেও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সাপোর্টারদের পাই। তাই পুরো ফাঁকা মাঠে খেলা সহজ হবে না। তবে আমাদের সামনে প্লে অফের কঠিন চ্যালেঞ্জ আছে। তাই মোটিভেশনের অভাব হবে না।
তিনি আরও বলেন, ক্যালেন্ডারের জন্য লিগের প্রথম পর্বে পয়েন্ট পাওয়া কঠিন ছিল। পজিটিভ রেজাল্ট পেলে দলের মোটিভেশন বাড়ে। হারলে পরের ম্যাচটা চাপের হয়ে যায়। শারীরিকের পাশাপাশি ফুটবল মানসিক গেমও। পরপর ম্যাচ থাকায় আমরা মাঝে বিশ্রাম পাইনি। তাই মাঝে সাফল্য আসেনি। মাঝে বিরতি থাকায় আমরা জানতাম বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব। শেষ দু"ম্যাচে আমরা একশো শতাংশ দিয়েছি। পঞ্জাবের প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা নেই। এটা আমাদের জন্য সুবিধা। কারণ আমদের মতো জয়ের খিদে থাকবে না ওদের। তবে উল্টোও হতে পারে। ওরা খোলা মনে খেলবে। খেলাটা উপভোগ করবে। অনেক সময় এটা প্লেয়ারদের জন্য ভালো। চাপমুক্ত হয়ে খেললে সেরাটা বেরিয়ে আসে। শেষ দুটো ম্যাচ জেতায় আমরা ভালো জায়গায় আছি। এটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব'।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন