সোমবার জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে যুবভারতীতে আইএসএলের অভিযান শুরু করছে ইস্টবেঙ্গল। তার আগে নতুন স্পনসর পেলো লাল হলুদ দল।নতুন হাইড্রেশন স্পনসর পেল তারা। অর্থাৎ লাল-হলুদ খেলোয়াড়দের জল, জুস থেকে কোল্ড ড্রিঙ্কস দেওয়ার দায়িত্ব নিল এই কোম্পানি। যার নাম লিমকা স্পোর্টস।
দশম আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হল এই সংস্থাটি। জামশেদপুর ম্যাচে নামার আগে সাংবাদিক বৈঠকে লাল-হলুদ বাহিনীর কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত বলেন, “জামশেদপুর সম্পর্কে আমরা বেশি কিছু জানি না। তবে এটা কোনও অজুহাত নয়। আমাদের পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। ভাল খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। মরশুমের প্রথম ম্যাচ জিততে হবে। এটা কোনও বড় ব্যাপার নয়। আমরা আমাদের মতো খেলব”।
লিগের প্রথম ম্যাচ জেতা যে খুবই জরুরি, তা জানিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, সোমবার তারা জয় দিয়ে শুরু করতে চান শুধু নিজেদের আত্মবিশ্বাসের জন্য নয়, সমর্থকদের জন্যও। বলেন, “প্রথম ম্যাচ জেতা খুবই জরুরি। সমর্থকদের জন্য তো বটেই, আমাদের জন্যও। সমর্থকেরা বরাবর আমাদের পাশে রয়েছেন। তাদের কথা ভেবে আমাদের সাফল্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দলের মানসিকতা, গতিশীলতা বদলেছে। ঘরের মাঠে ছ’টা ম্যাচ খেলে ফেলেছি আমরা। তাতে সমর্থকেরা আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। এ বার তাদের কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার পালা”।
ডুরান্ড কাপ ফাইনালের পরে আইএসএল শুরু পর্যন্ত যে এক মাসেরও বেশি সময় পেয়েছেন তাঁরা, সেই সময়কে ভরপুর কাজে লাগিয়েছেন বলে জানিয়ে দিলেন আইএসএল জয়ী কোচ।
কুয়াদ্রাত জানান, ডুরান্ডে খেলা ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে এই ইস্টবেঙ্গল এখন আরও অনেক উন্নত। বলেন, “আমরা এক মাস সময় পেয়েছি বিভিন্ন বিষয়ে অনুশীলনের জন্য। যেমন বিভিন্ন সিস্টেম নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে। যখন ডুরান্ড খেলেছিলাম, তখন আমাদের জেতার লক্ষ্যে মাঠে নামতে হত এবং ট্রেনিংয়েও সেই লক্ষ্যই থাকত। কিন্তু গত এক মাসে আমরা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করেছি।
তিনি আরও বলেন, যদিও মাঝখানে মহেশ (সিং), চুঙনুঙ্গা, (প্রভসুখন) গিল, জর্ডন (এলসি)-দের পাইনি। তাতে অসুবিধা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহের প্রস্তুতির পর আমি খুশি। একাধিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে আমরা বিভিন্ন কৌশলে খেলার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয়, দলের ছেলেরা সবাই এগুলো ভালই বুঝতে পেরেছে এবং তার প্রতিফলন মাঠে পড়বে”।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন