ডার্বির প্রথমার্ধে মোহনবাগান যা ফুটবল খেলেছে তাতে মনে হয়েছিল ৫-০ হওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু ৫ গোল তো দূরের কথা সেকেন্ড হাফে একটা গোলও না দিয়ে ৩-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। ম্যাচের এই ফলে স্বাভাবিক ভাবে হতাশ বাগান কোচ হাবাস।
হাবাস জানান, "প্রথমার্ধের খেলা যদি বিশ্লেষণ করেন তাহলে দেখবেন আমরা তখন আরও গোল পেতে পারতাম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ছবিটা পুরো বদলে গেল। আমরা তখন শুধু ডিফেন্স করতে ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু তখন আমাদের আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা উচিত ছিল। প্রতিপক্ষকে তখন চাপে রাখা প্রয়োজন ছিল। জানি না কেন এমন হল"।
তিনি আরও বলেন, "বিরতিতে কিন্তু ছেলেদের বলেছিলাম দ্বিতীয়ার্ধেও প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে হবে। কিন্তু জানি না, কেন ওরা তা পারলো না। তবে আমাদের এই নিয়ে আরও পরিশ্রম করতে হবে ও উন্নতি করতে হবে"।
পাশাপাশি হাবাস জানান, "শুধুই আক্রমণাত্মক বা শুধুই রক্ষণাত্মক কোনও ফুটবল ম্যাচে খেলা সম্ভব নয়। সে জন্যই ট্রানজিশন দরকার। ডিফেন্স ও অ্যাটাক সমানভাবে করে যেতে হয়। তাছাড়া মাত্র তিনজন সেন্টার ব্যাককে দিয়ে কখনও রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা যায় না। অন্তত চার-পাঁচজন লাগে সেখানে। খেলা শুরুর সময় আমরা একটা ছকে দলকে সাজাই ঠিকই। কিন্তু রেফারি কিক অফের বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই তা বদলে যায়। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রকমের ফরমেশন তৈরি হয়ে যায়। ৪-৩-৩-এ শুরু করলে কোনও দল সারা ম্যাচে তা বজায় রাখতে পারে না। রক্ষণাত্মক ফুটবল খেললে তা কখনও ৪-৫-১-এ এসেও দাঁড়ায়। প্রয়োজন মতো ছক ও সিস্টেমে বদল করে খেলতে হয়। আমি সেটাই করাই।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন