প্রথমার্ধের ছন্নছাড়া ভাব দ্বিতীয়ার্ধে খানিকটা গুছিয়ে নিলেও ডার্বি হার এড়িয়ে যেতে পারলো না ইস্টবেঙ্গল। রবিবার আইএসএলের ফিরতি ডার্বিতে ৩-১ গোলে হেরে সুপার সিক্সে যাওয়ার স্বপ্ন পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে গেলো লাল-হলুদের।
প্রথমার্ধে কার্লস কুয়াদ্রাতের ইস্টবেঙ্গল ৩-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পরে লাল হলুদ সমর্থকদের চিন্তা ছিল ৫ গোলের রেকর্ড যেন ভেঙে না যায়। তবে সেটা হল না। তবে এতকিছুর পরেও ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল নিয়ে কিন্তু সমালোচনা বন্ধ হবে না। সুপার কাপ জয়ী দলের বেশ কিছু ফুটবলারকে কেনো ছেড়ে দেওয়া হল সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। এদিন ম্যাচের ১৪ মিনিটে বিশাল কাইথ বক্সের মধ্যে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটন সিলভা পেনাল্টি মারতে আসেন। তবে শটে জোর ছিল না। বিশাল ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পেনাল্টি বাঁচান। আত্মবিশ্বাসে সেখানেই চির ধরে লাল হলুদের। এরপরে ২৭ মিনিটে গোল পায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড। পেত্রাতোস বক্সের ঠিক বাইরে থেকে একটি শট নেন। লাল-হলুদের গোল রক্ষক সেটি সেভ করেন। কিন্তু ফিরতি বল পেয়ে জেসন কামিন্স গোল করে যান।
৩৭ মিনিটে ফের গোল বাগানের। পেত্রাতোস ডান দিক থেকে পোস্ট লক্ষ্য করে একটি শট নেন। তবে বলটি পোস্টে লেগে ফিরে আসে লিস্টন কোলাসোর কাছে। লিস্টনের আলতো পায়ের টোকায় বল জালে জড়ায়। ২ গোল খেয়ে দিশেহারা ইস্টবেঙ্গল। অতিরিক্ত সময়ের ৪৮ মিনিটে বক্সের ঠিক ভিতরেই নন্দকুমার ফাউল করে বসেন লিস্টনকে। পেনাল্টি পেয়ে গোল করেন পেত্রাতোস । প্রথমার্ধ শেষ হয় ৩-০ ব্যবধানে।
সেকেন্ড হাফের শুরুতেই ৫৩ মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের স্বস্তি দেন সাউল ক্রেসপো। ক্লেটন সিলভা বক্সের ভিতর দুরন্ত একটি ক্রস বাড়ান সাউল ক্রেসপোকে। ক্রেসপো দৌড়ে এসে বলটি বুক দিয়ে নামিয়ে দুরন্ত শটে জালে জড়ান। ১-৩ হয় ফলাফল। এরপর মোহনবাগান খানিকটা ডিফেন্সিভ হয়ে যায়।
৬৭ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন করে মোহনবাগান। কামিন্স আর লিস্টনকে তুলে নিয়ে অনিরুদ্ধ থাপা, আশিস রাইকে নামান হাবাস। ৮০ মিনিটে বিষ্ণু ফ্রি কিক নিলেও অসাধারণ সেভ করেন বিশাল কাইথ। এরপরে গোলদাতা ক্রেসপোকে নামিয়ে ফেলিসিও নামায় লাল হলুদ। তবে লাভ হয়নি। হতাশায় মাঠ ছাড়তে তাঁদের। তবে এদিন ডার্বিতে মাঠ ভরেনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন