আইএসএল-র চলতি মরসুমে হারের হ্যাটট্রিক করেছে ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার এই মরসুমের প্রথম ঘরের মাঠে ম্যাচ ছিল লাল-হলুদের। কিন্তু সেই ম্যাচও ৩-২ গোলে হারতে হল কুয়াদ্রাতের ছেলেদের। তারপর গ্যালারিতেই সমর্থকরা 'গো ব্যাক কুয়াদ্রাত, গো ব্যাক' স্লোগান দিতে থাকেন।
১ বছরও হয়নি গত জানুয়ারি মাসে কার্লস কুয়াদ্রাত ইস্টবেঙ্গলকে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন করায় তাঁকে প্রফেসর, ম্যাজিশিয়ান সহ নানা আখ্যা দিয়েছিলেন লাল হলুদ সমর্থকরা। আর শুক্রবার দল হারায় সেই সমর্থকদের কাছ থেকেই শুনতে হল কটূক্তি। এদিন যুবভারতীতে এফসি গোয়ার কাছে ৩-২ গোলে হারে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের প্রথম ২১ মিনিটে জোড়া গোল হজম করে তারা। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। গোয়ার হয়ে দুটো গোলই করেন লাল হলুদের প্রাক্তনী বোরহা হেরেরা। ২৯ মিনিটে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। গোল করতে কোনও ভুল করেননি তালাল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৭০ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন বোরহা। আর ৮৫ মিনিটে ডান উইং থেকে আনোয়ারের দূরপাল্লার গোলমুখী শট ঝাঁপিয়ে পড়ে বার করে দেন গোলকিপার লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমণি। কিন্তু তাঁর হাত থেকে ছিটকে আসা বল গোলে ঠেলতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি ডেভিড লালনলাঙ্গা। এরপর আর গোলের মুখ খোলেনি। লজ্জায় মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচ শেষে সমর্থকরা জানান, 'প্রাক্তন বোরহা হেরেরা হ্যাটট্রিক করে কুয়াদ্রাতের গালে চড় মেরে গেল। পর পর টিম হারছে। কোচের ভূমিকায় আমরা সন্তুষ্ট নই। যে প্লেয়ারকে আগে নামানো দরকার তাকে ম্যাচের শেষে নামাচ্ছেন। ক্লাবের সম্মান বাঁচাতে হলে অবিলম্বে এই কোচকে সরাতে হবে।'
যদিও সমর্থকদের বিক্ষোভ নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন কুয়াদ্রাত। তিনি বলেন, 'আমরা এমন এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যেখানে কিছুই আমাদের পক্ষে যাচ্ছে না। ফুটবলে এমন হয়। বিশেষ করে ঘরের মাঠে হারাটা মেনে নেওয়া কঠিন। এখনও পর্যন্ত আইএসএলে, আমাদের অন্তত এক পয়েন্ট পাওয়ার জন্যও লড়াই করতে হচ্ছে। কিন্তু সফল হচ্ছি না। আমাদের অনুশীলনে আরও পরিশ্রম করতে হবে এবং উন্নতি করতে হবে। আমাদের খেলোয়াড়দের ছন্দে ফেরাতে হবে এবং পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে। এখন একমাত্র সমাধান এটাই।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন