যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গল বনাম মহামেডান মিনি ডার্বি গোল শূন্য ড্র হল। বলা ভালো এদিন মান বাঁচালো ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের প্রথমার্ধে জোড়া লাল কার্ডে ৯ জনে খেলেও তারা এই ম্যাচ ড্র করেছে। পাশাপাশি চলতি আইএসএল-এ প্রথম পয়েন্ট পেল তারা।
শনিবার ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলে দুই দল। ১২ মিনিটে কর্নার পায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু অসাধারণ সেভ করেন মহামেডান গোলকিপার ভাস্কর রায়। এরপর ম্যাচ যত এগোতে থাকে দুই দলের মধ্যে ফুটবলের থেকে হাতাহাতি বেশি চলতে থাকে। আর ২৮ মিনিটে অমরজিতের সঙ্গে সৌভিক চক্রবর্তী ঝামেলা, রেফারি তাঁদের সঙ্গে কথা বলে মিটমাট করলেন।
অন্যদিকে আগেই হলুদ কার্ড দেখেন নাওরেম মহেশ। তিনি ফ্র্যাঙ্কাকে আটকাতে গিয়ে কার্ড দেখেন। অমরজিত সিং কিয়ামকে ঘুষি মারায় লালকার্ড দেখানো হয় নন্দকুমারকে। ৩০ মিনিটে মাঠের মধ্যে বোতলে লাথি মারার কারণে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানো হয় মহেশকে। ফলে তিনিও লালকার্ড নিয়ে মাঠ ছাড়েন। আইএসএল-র ইতিহাসে ইস্টবেঙ্গলই প্রথম দল যারা প্রথমার্ধে জোড়া লাল কার্ড দেখেছে। একই সময়ে মাঠে নিজেদের মধ্যে বচসায় জড়ান দুই মহামেডান ফুটবলার। ৯ জনে খেলেও ইস্টবেঙ্গল কিন্তু লড়াই বজায় রাখে। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ব্যবধানে।
৫৮ মিনিটে গোলের সামনে গিয়েও মহামেডানের ফ্র্যাঙ্কা হেডে গোল করতে পারলেন না। ৬৪ মিনিটে আবার গোল মিস মহামেডানের। গোলের সামনে চলে আসা বলে পা ছোঁয়াতে পারলেন না মানজোকি। জুইডিকার জোরালো শট আনোয়ারের বুকে লেগে বেরিয়ে যায়। এরপরও গোল মিস করে দুই দল।
অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় দিলেও কোনো লাভই হয়নি। এদিনও রেফারির মান নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ম্যাচের শেষে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোনকে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন