প্রথম ম্যাচে মুম্বই এফসির সঙ্গে ড্র, দ্বিতীয় ম্যাচে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে জয়। আইএসএলে দুটো ম্যাচ ঘরের মাঠে যুবভারতীতে খেলে এবারে মোহনবাগান নামবে অ্যাওয়ে ম্যাচে। শনিবার তাদের প্রতিপক্ষ সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি। তার আগে মোহনবাগানের কাছে খুশির খবর। তাঁদের সব বিদেশীই ফিট।
বাগান কোচ হোসে মোলিনা বলেন, "হোম ম্যাচ হোক বা অ্যাওয়ে আমার কাছে সব ম্যাচই সমান। আমাদের খেলার স্টাইল একই থাকবে। কোথায়, কার বিরুদ্ধে কোন টুর্নামেন্টে খেলছি, সেটা বড় কথা নয়। একই রকম খেলে যেতে পারাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই দলের ছেলেদের মধ্যে ব্যক্তিত্ব ও উচ্চাকাঙ্খা বজায় থাকুক এবং তারা প্রতি ম্যাচেই আধিপত্য বিস্তার করুক। সে যে মাঠেই খেলি না কেন"।
তিনি আরও বলেন, "ঘরের মাঠে খেলা সব সময়ই ভাল। সেখানে নিজেদের সমর্থকরা উপস্থিতি থাকেন। বেঙ্গালুরুতে তাদের অনেককেই পাব না। কিন্তু মাঠে খেলাটা এগারো বনাম এগারো হবে। আর মোহনবাগান সব ম্যাচেই যথাসম্ভব ভালো ফুটবল খেলে জেতার চেষ্টা করবে"।
বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেনকে নিয়ে মোলিনা বলেন, "জেমি প্রতিদিনই ফিট হয়ে উঠছে। গত ম্যাচে ও ১৫ মিনিটের জন্য নেমেও দলকে যথেষ্ট সাহায্য করেছিল। গোল করতে পারেনি ঠিকই, কিন্তু ওর খেলা দেখে আমার ভালো লেগেছে। যথাসম্ভব দ্রুত একশো শতাংশ ফিট হয়ে প্রথম এগারোয় জায়গা পাওয়ার জন্য ও কঠোর পরিশ্রম করছে। আমরা জানি ও বড় ফুটবলার। কিন্তু মোহনবাগানের অ্যাটাকিং লাইনে জায়গা পাওয়া এই মুহূর্তে সহজ নয়। গ্রেগ, দিমি, জেসনরা খেলছে। চারজন বিদেশী স্ট্রাইকার নিয়ে খেলা তো সম্ভব নয়। আক্রমণ তৈরির জন্য ডিফেন্ডার ও মিডফিল্ডারদেরও দরকার।
পাশাপাশি বাগান কোচ বলেন, সব বিদেশিকে একসঙ্গে দলে পেয়ে আমি খুশি। বিকল্প আছে আমার হাতে। সেই বিকল্পগুলিকে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন ম্যাচে কাজে লাগাতে হবে। বেঞ্চ থেকে মাঠে নেমেও যে গোল করার মতো কেউ আমার হাতে আছে, এটা খুবই ভালো। গত ম্যাচে জেসন যেমন পরিবর্ত হিসেবে নেমে গোল করেছে। জেমি আর জেসন দু’জনেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল। এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন