হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগে গোল্ডেন বুট জয়ের জন্য নয়া নিয়ম চালু হয়েছে। আর তার জন্যই বদলে যেতে চলেছে একাধিক প্লেয়ারেরে ভাগ্য। গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে রয়েছেন ওড়িশা এফসির প্লেয়ার ডিয়েগো মাউরিসিও, এটিকে মোহনবাগানের দিমিত্রি পেত্রাতোস এবং ইস্টবেঙ্গলের ক্লেটন সিলভা।
এতদিন নিয়ম ছিল টুর্নামেন্টে শেষে যে প্লেয়ারের গোল সংখ্যা বেশী থাকবে তাঁকে গোল্ডেন বুট দেওয়া হবে। যুগ্ম প্লেয়ার থাকলে তখন ওই দুই ফুটবলারের অ্যাসিস্টের সংখ্যা দেখে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হতো। কিন্তু নয়া নিয়ম অনুযায়ী যুগ্ম ভাবে শীর্ষে থাকা প্লেয়ারদের মধ্যে যে সব থেকে কম সময়ে গোলগুলি করেছেন তাঁকেই গোল্ডেন বুট দেওয়া হবে। তাতেই অ্যাডভান্টেজ পেয়েছেন ওড়িশা এফসির ডিয়েগো মাউরিসিও।
ওড়িশার স্ট্রাইকারের সাথে যুগ্মভাবে তালিকায় রয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের ক্লেটন সিলভা। তিনিও করেছেন ১২টি গোল। অ্যাসিস্ট আছে একটি। মাউরিসিও করেছেন চারটি অ্যাসিস্ট। নতুন নিয়মের জন্য গোল্ডেন বুটের দাবিদার ওড়িশার ফুটবলার।
কিন্তু এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। কারণ শনিবার ফাইনালে যদি দিমিত্রি পেত্রাতোস তিনটি গোল করেন সেক্ষত্রে তিনিই হবেন গোল্ডেন বুট বিজেতা। দিমিত্রির গোল সংখ্যা এখন ১০। অ্যাসিস্ট করেছেন ৭টি। ফলে ১৩টি গোল হলেই সকলকে পেছনে ফেলে দেবেন এই স্ট্রাইকার। যদি তাঁর পা থেকে হ্যাট্রিক না আসে তাহলে ক্লেটনের হাতেই উঠবে হিরো আইএসএলের সোনার বুট।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিগত মরশুমগুলিতে গোল্ডেন বুট বিজেতাদের নাম - প্রথম মরশুমে (২০১৪) ইলানো ব্লুমার (চেন্নাইয়িন এফসি)। ১১ ম্যাচে ৮টি গোল করেছিলেন। দ্বিতীয় মরশুমে (২০১৫) চেন্নাইয়িন এফসিরই এরেক তারকা স্টিভেন মেন্ডোজা। তিনি ১৬ ম্যাচ খেলে ১৩টি গোল করেছিলেন। তৃতীয় মরশুমে (২০১৬) জিতেছিলেন দিল্লি ডায়নামোসের মার্সেলিনহো। গোলসংখ্যা ছিল ১০।
২০১৭-১৮ (২০ ম্যাচে ১৮ গোল) এবং ২০১৮-১৯ (২০ ম্যাচে ১৬ গোল) এই দুই মরশুমে পর পর গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন এফসি গোয়ার ফেরান কোরোমিনাস। ২০১৯-২০ মরশুমে চেন্নাইয়িনের ভালস্কিস ১৫ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন। ২০২০-২১ সালে এফসি গোয়ার ইগর আনগুলো ২১ ম্যাচ খেলে ১৪ গোল করে বিজেতা হয়েছিলেন। গত মরশুমে হায়দরাবাদের তারকা স্ট্রাইকার বার্থোলোমিউ ওগবেচে ২০ ম্যাচে ১৮ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন