টানা খারাপ ফলের জেরে মোহনবাগানের কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল জুয়ান ফেরান্দোকে। যদিও আর একটি সূত্রের দাবি, ছাঁটাই করার আগে তিনি নিজেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁর জায়গায় সবুজ-মেরুনের নতুন কোচ হলেন দলের টিডি আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। আসন্ন সুপার কাপ থেকেই প্রধান কোচের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।
এএফসি কাপ আর আইএসএল-এর গত কয়েক ম্যাচে ভালো খেলতে পারেনি বাগান। আইএসএলে সদ্য টানা তিনটি ম্যাচ হেরেছে দলটি। যার জেরেই এই সিদ্ধান্ত মনে করা হচ্ছে। তবে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আগে আইএসএল (২০২২-২৩ মরশুম) ও এবারের ডুরান্ড কাপ জয়ের জন্য ফেরান্দোকে ধন্যবাদ দেয় মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ।
২০২১ সালে কোচ করা হয়েছিল ফেরান্দোকে। হাবাসকে সরিয়েই জুয়ানকে কোচ করে মোহনবাগান। এর আগে এফসি গোয়ার কোচ ছিলেন ফেরান্দো। ফেরান্দোর অধীনে গত ২ বছরে মোট ৭৭টি ম্যাচ খেলে সবুজ-মেরুন, যার মধ্যে ৪২টি ম্যাচে জয়ী হয় তারা। ড্র হয় ১৫টি ম্যাচ।
এর আগে হাবাসের কোচিংয়ে দু’বার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহনবাগান, ২০১৪ আর ২০১৯–২০ মরশুমে। তখন দলের নাম ছিল এটিকে-মোহনবাগান। তবে এখন মোহনবাগানের থেকে সরে গিয়েছে এটিকে। ২০২০-২০২১ মরসুমে এটিকে-মোহনবাগান রানার্স হয় হাবাসের কোচিংয়ে। জুয়ান ফেরান্দোর কোচিংয়ে ২০২২-২৩ আইএসএলে মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের নাম মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস।
হাবাস টিডি হওয়ার পরেই প্রশ্ন ওঠে ফেরান্দো দলের কোচ থাকা সত্ত্বেও কেন হাবাসকে আনা হচ্ছে? তখন বলা হয় টিম ম্যানেজমেন্টে দুই স্প্যানিশ মস্তিষ্ক থাকায় সুবিধা হবে। তেমনই হাবাসকে দিয়ে কোচ ফেরান্দোকে বেশ খানিকটা চাপেও রাখা যাবে। ঠিক সেটাই হল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন