বুধবারে মোহনবাগান বনাম কালীঘাট ম্যাচে রেফারির মান নিয়ে প্রশ্ন ছিল। ৪৪ মিনিটে যে পেনাল্টি থেকে মোহনবাগান গোল পায় সেটা পেনাল্টি ছিল কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
গতকাল মাঠে ছিলেন কালীঘাট এম এস কর্তা তথা আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দোপাধ্যায়। ম্যাচের শেষে তিনি জানান, 'আমরা চিঠি দিতে চলেছি। এর সঙ্গে ম্যাচের ভিডিয়ো পাঠাবো। সেটা দেখারও অনুরোধ করবো। বিশেষ করে ওদের পেনাল্টির সিদ্ধান্তটা দেখার জন্য অনুরোধ করবো। এইভাবে রেফারিং করা হলে তা বাংলার ফুটবলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আমরা যারা কষ্ট করে ছোট দল চালাই তাদের জন্য ব্যাপারটা হতাশার।'
ক্লাবের শীর্ষ কর্তার পাশাপাশি ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কালীঘাট এমএসের কোচ। তিনি বলেন, '৩ পয়েন্ট আমাদের মাঠে রেখে আসতে হল। রেফারি অহেতুক কার্ড দেখিয়েছেন। ওটা একেবারেই পেনাল্টি নয়।' অন্যদিকে, ম্যাচের শেষে মোহনবাগান কোচ বাস্তব রায় বলেন, 'যে গোলটা কালীঘাট করেছে আমার মতে আমরা সেটা মাঠে উপহার দিয়ে এসেছি'।
ম্যাচের ২৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে কালীঘাটকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন করণচাঁদ মুর্মু। ৪৪ মিনিটে বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে গোল করে মোহনবাগানকে সমতায় ফেরান সুহেল আহমেদ ভাট। দ্বিতীয়ার্ধে কালীঘাটের সুদীপ গোল করলে তা মোহনবাগানের ফুটবলারের গোললাইন সেভ দেখিয়ে রেফারি সেই গোল নাকচ করে দেন। যা নিয়ে প্রচন্ড বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন