তৃতীয় বারের জন্য আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হলো কলকাতা নাইট রাইডার্স। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইন আপকে তাসের ঘরের মতো উড়িয়ে দিল কেকেআরের বোলাররা। ২০১২ ও ২০১৪-র পর ২০২৪ সালে খেতাব জয় করলো কেকেআর। সবথেকে মূল্যবান প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন কলকাতার সুনীল নারিন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কে কোন পুরস্কার জিতলেন।
অরেঞ্জ ক্যাপ – দল ফাইনালে না উঠলেও গোটা মরসুমে দারুণ ছন্দে ছিলেন বিরাট কোহলি। মোট ৭৪১ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপের মালিক হলেন কোহলি। পুরস্কার মূল্য হিসেবে পেলেন ১০ লক্ষ টাকা।
পার্পেল ক্যাপ – এই টুপির বিজেতা হলেন পাঞ্জাব কিংসের হর্ষল প্যাটেল। ২৪টি উইকেট নিয়ে চলতি মরসুমে পার্পেল ক্যাপ জিতলেন তিনি। তিনিও ১০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন।
মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার – এই তালিকায় প্রথম থেকেই কেকেআরের সুনীল নারিনের নাম ছিল। নিজেকে প্রথম স্থানেই ধরে রেখে মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার হলেন তিনি (১০ লক্ষ টাকা)। প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্টও হয়েছেন নারিন।
সেরা ক্যাচ – মরসুমের একাধিক ক্যাচের মধ্যে সেরা নির্বাচিত করা হলো কলকাতার রমণদীপ সিং-র ক্যাচটি (১০ লক্ষ টাকা)।
এবারের টুর্নামেন্টে সর্বাধিক ছয় মেরেছেন হায়দরাবাদের ওপেনার অভিষেক শর্মা। সবথেকে বেশি চার মেরেছেন ট্রাভিস হেড। পাশাপাশি ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ডও জিতেছে সানরাইজার্স। ইমার্জিং প্লেয়ারের খেতাব জিতেছেন হায়দরাবাদের নীতিশ রেড্ডি (১০ লক্ষ টাকা)।
সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট - জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক (১০ লক্ষ টাকা)।
আইপিএলের সেরা মাঠ - উপ্পল স্টেডিয়াম, হায়দরাবাদ (৫০ লক্ষ টাকা)।
এছাড়া চ্যাম্পিয়ন দল কেকেআর পেয়েছে ২০ কোটি টাকা। রানার্স আপ হায়দরাবাদের ঝুলিতে গেছে ১২.৫ কোটি টাকা। তৃতীয় হওয়া রাজস্থান পেয়েছে ৭ কোটি এবং চতুর্থ হওয়া আরসিবি পেয়েছে ৬.৫ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, রবিবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন প্যাট কামিন্স। কিন্তু প্রায় ২৫ কোটির স্টার্ক প্রথম ওভারেই অভিষেক শর্মাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান। তারপর থেকে একের পর এক উইকেটের পতন হতে থাকে হায়দরাবাদের। ফাইনালের দিনও ট্রাভিস হেড ফেরেন শূন্য রানে। ১৮.৩ ওভারে ১১৩ রানে শেষ হয় হায়দরাবাদের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০.৩ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় কলকাতা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন